নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরের হালিশহর এলাকার ঈদবস্ত্র মেলায় ধাক্কাধাক্কিকে কেন্দ্র করে শিশু শাহরিয়ার নাজিম ফাহিম (১৫) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মামুনকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
মো. মামুন নোয়াখালী সুধারাম মাইজদী উদারহাট বাজার সুলতান মিস্ত্রী বাড়ির মো. আলমগীরের সন্তান। বর্তমানে ডবলমুরিং থানাধীন ঈদগাহ ঝর্ণাপাড়া হারুনের ভাড়াঘরে বসবাস করে।
জানা গেছে, ফাহিম ও তার বন্ধু অভি গত শুক্রবার রাতে হালিশহর থানাধীন দুলহান কমিউনিটি সেন্টারে ঈদবস্ত্র মেলাতে ঘুরতে যায়। এসময় ধাক্কা লাগার জের ধরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অভির সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারধর করে। তখন বন্ধুদের ফোন করে ঘটনার বিষয়টি জানায় অভি। ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে পাহাড়তলী থানাধীন পশ্চিম নাছিরাবাদ ঈদগাহ কাঁচা রাস্তার মোড় যাত্রী ছাউনির সামনে যায়। এসময় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তিসহ বিরোধ মীমাংসা করার চেষ্টার একপর্যায়ে একজন এলোমেলোভাবে ছুরি চালাতে থাকে। এসময় ছুরিকাঘাতে ফাহিম ও তার বন্ধু জয়নাল আবেদীন ইমন (১৭) গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফাহিমের মৃত্যু হয়। ইমন বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ফাহিমের পিতা মো. জহির বাদি হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, ‘মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মো. এামুনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মেলায় ধাক্কাধাক্কির মত ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ জড়ো হওয়ার পর আকস্মিক উত্তেজনায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে জড়িত অন্য অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’



















































