নিরপেক্ষতার প্রস্তাব ইউক্রেনের
সুপ্রভাত ডেস্ক »
ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ অবসানে তুরস্কে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মঙ্গলবারের বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কিয়েভ ও চেরনিহিভে সামরিক অভিযান ব্যাপকভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। আর হামলা থেকে সুরক্ষার আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা সাপেক্ষে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, তারা নিরপেক্ষতার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আওতায় তারা কোনও জোট বা বিদেশি সেনাদের ঘাঁটি করতে দেবে না। কিন্তু ন্যাটোর ধারা-৪ এর মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং ন্যাটো সদস্য কানাডা, পোল্যান্ড ও তুরস্ক এমন নিশ্চয়তা প্রদানে সহযোগিতা করতে পারে। প্রস্তাবে রাশিয়ার বিচ্ছিন্ন করা ক্রিমিয়ার অবস্থা নিয়ে ১৫ বছর পরামর্শের সময় রাখা হবে। এটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে কেবল কার্যকর হবে।
রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন জানান, সংলাপের শর্ত প্রস্তুত করতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও চেরনিহিভে আক্রমণ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।
শীর্ষ রুশ মধ্যস্থতাকারী ভøাদিমির মেডিনস্কি জানান, ইউক্রেনের প্রস্তাব তিনি পর্যালোচনা করবেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে জানাবেন।
১০ মার্চের পর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মঙ্গলবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় রাশিয়া। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনও ইউক্রেনীয় শহরের দখল নিতে পারেনি রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের প্রস্তাবটির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় মধ্যস্থতাকারী ওলেক্সান্ডার চালি বলেন, এগুলো আমাদের কাছে মৌলিক বিষয়। এগুলো মজবুত করা গেলে ইউক্রেন জোট নিরপেক্ষ ও পারমাণবিক শক্তিবিহীন রাষ্ট্র হিসেবে স্থায়ী নিরপেক্ষতা গ্রহণের অবস্থায় পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভূখণ্ডে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি হবে না। একই সঙ্গে আমাদের মাটিতে বিদেশি সেনাদের মোতায়েন করা হবে এবং আমরা কোনও সামরিক-রাজনৈতিক জোটের সদস্য হব না। সামরিক মহড়া নিশ্চয়তাদানকারী রাষ্ট্রের অনুমতির ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে।
ইউক্রেনীয় মধ্যস্থতাকারী জানান, তাদের প্রস্তাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যকার বৈঠক আয়োজনের মতো যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।