সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় নাম সাকিব আল হাসান। এই তারকা ক্রিকেটারের বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি থাকায় অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে। তবে সুখবর মিলেছে সাকিবের বোলিং নিয়ে। এখন অ্যাকশন পরীক্ষায় উতরে বোলিংয়ের অনুমতি পেয়েছেন সাকিব। যেখান থেকে আসল তার এই সুখবর সেখানে জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন তারকা হামজা চৌধুরীর। বাংলাদেশ ফুটবল দলের হয়ে খেলতে এসেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এ বছর ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন তিনি। হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে। ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের লেস্টারশায়ারের লাফবোরোয় জন্মগ্রহণ করেন এই ফুটবলার। ইংল্যান্ডের এই লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়েই বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন সাকিব। হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তার শিকড় গাঁথা বাংলাদেশে হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে। শিকড়ের টানের বাংলাদেশের হয়ে। হামজা ও সাকিবকে নিয়ে দেশের গণমাধ্যম কে সেরা এমন আলোচনাও ছিল কয়েকদিন ধরে। হামজা নিজে অবশ্য সাকিবের প্রশংসাই করে গেছেন। জানিয়েছিলেন, ‘আমার মনে হয় না ওখানে গেছি এখনো। সাকিব আল হাসান মেগা স্টার। সে বিশ্ব পর্যায়ে অনেক বছর ডমিনেট করেছে। আমার মনে হয় না… (তার সঙ্গে তুলনা করা ঠিক)।’ হামজার এই কথার দুইদিন পরই হামজার জন্মস্থান থেকে সুখবর দিলেন সাকিব। এর আগে দুইবার অ্যাকশন পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও এবার সফল হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন স্বীকৃত ক্রিকেটে বল করার। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে গিয়ে প্রথমবার তাঁর অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ করেন মাঠের আম্পায়াররা। এর অ্যাকশন পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে সাকিবকে নিষিদ্ধ করে ইসিবি। সারের প্রধান কোচ গ্যারেথ ব্যাটির অধীনে কঠোর পরিশ্রমের পর সফল হলেন সাকিব। সারে কাউন্টির ইনডোর ব্যবহার করেছেন বোলিং অনুশীলনে, লাফবোরোতে দিয়েছেন পরীক্ষা। পুরোটা তার সঙ্গে ছিলেন শৈশবের বিকেএসপির বন্ধু সিরাজ উল্লাহ খাদেম।