নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘গত একমাসে ৭/৮টি হাতি মারা গেছে। হাতি মারা যাওয়ার দায়-দায়িত্ব আমরা এড়াতে পারি না। হাতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছি। এ ব্যর্থতার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।’
গতকাল নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষকদের ২ মাসব্যাপী ‘ওরিয়েন্টেশন কোর্স’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এসডিজি’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে দেশের মোট ভূমির ১৬ শতাংশ বনাচ্ছাদনে উন্নীত করা এবং ২০২৫ সালের মধ্যে বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমাণ ২৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে বনের অবক্ষয় ও উজাড় প্রতিরোধ করে সরকারের নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর হয়ে কাজ করতে হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্ব জলবায়ু ঝুঁকিতে আছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। তাই বনভূমি ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাতি যদি ফসল নষ্ট করে, তার ক্ষতিপূরণ সরকার দিচ্ছে। তাই কেন মানুষ হাতি মারবে? ফসলের ক্ষতি করলেই হাতি মারতে পারে না।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণকে বুঝিয়ে বলবেন যাতে হাতি হত্যা না করে। ফসলের ক্ষতি করলে ক্ষতিপূরণ পাবে, কিন্তু হাতি হত্যা করা যাবে না। হত্যা করলে আইনের আওতায় নেয়া হবে এবং শাস্তি পেতে হবে।’
পরিবেশ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে জীব বৈচিত্র্য রক্ষার সকল দায়িত্ব বন বিভাগের। যে এলাকায় যে বন কর্মকর্তা আছেন সেখানে তাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। আপনার এলাকায় যদি বন্য প্রাণী মারা যায় তার জন্য আপনারা সবাই দায়ী। হাতি মারা যাওয়ার ঘটনা আপনাদের ব্যর্থতা।’
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কমার ভৌমিক, বন অধিদপ্তরের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক (শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উইং) মো. মাঈনুদ্দিন খান এবং চট্টগ্রাম ফরেস্ট একাডেমির পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী।
এ মুহূর্তের সংবাদ