নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারী »
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন।
তিনি ৫০ হাজার ৯৭৭টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজান চৌধুরী কেটলি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।
রোববার রাতে এই বেসরকারি ফলাফলের তথ্য জানান সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান। গতকাল সোমবার বিকালে এক প্রতিক্রিয়ায় নবনিবার্চত সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সুপ্রভাতকে বলেন, হাটহাজারীবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে সপ্তমবারের মত ভোট দিয়ে নিবার্চিত করেছেন। হাটহাজারী এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে আরও উন্নয়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
এ আসনে মোমবাতি প্রতীক নিয়ে সৈয়দ মোখতার আহমদ পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৩১ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে নাজিম উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ ভোট, একতারা প্রতীক নিয়ে কাজী মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী পেয়েছেন ৮৭২ ভোট, চেয়ার প্রতীক নিয়ে ছৈয়দ হাফেজ আহমদ পেয়েছেন ৬৯১ ভোট, ঈগল প্রতীক নিয়ে নাছির হায়দার করিম পেয়েছেন ৪৮০ ভোট, টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দিন পেয়েছেন ৬৫ ভোট ।
এ আসনে একটি পৌরসভা, ১৪টি ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪৬ কেন্দ্রের ১ হাজার ৬১ কক্ষে প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্য দিয়ে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পরবর্তীতে ক্ষমতার পালাবদলে সরকারে আসে জাতীয় পার্টি। এরপর ১৯৮০’র দশকের শুরুতে তিনি বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
জাতীয় পার্টি থেকে একই আসনে ১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এই নির্বাচনের তিন বছরের মধ্যে ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনেও তিনি জাতীয় পার্টির টিকিটে জয়ী হন। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির টিকিটে বিজয়ী হন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি।