খাতুনগঞ্জে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার সরবরাহ #
রুমন ভট্টাচার্য:
প্রতিবছর ঈদুল আজহার আগেই চাহিদা বাড়ে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার। পাইকারি থেকে খুচরা বাজার সবখানেই এসব পণ্যের বেচাকেনা হয় বেশি। সে লক্ষ্যে দেশের বৃহত্তম ভোগ্য পণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার সরবরাহ। প্রতিদিনই ঢুকছে এসব পণ্য। সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে আড়তগুলোর সামনে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানকে সামনে রেখে বাজারে পেঁয়াজ, আদা রসুনের সরবরাহ বেড়েছে। বর্তমানে সরবরাহ প্রচুর, সংকটও নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেঁয়াজ, রসুনের দাম কম থাকলেও হঠাৎ বেড়েছে আদার দাম। সরবরাহ বাড়লেও হঠাৎ দাম কেন বাড়ল এর কোনো সদুত্তর মেলেনি সংশ্লিষ্টদের কাছে।
শনিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, আড়তগুলোর সামনে মিনি ট্রাকের সারি লাইন ধরে দাঁড়ানো। প্রায় সব গাড়িতেই পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বস্তার স্তুপ। শ্রমিকরা ব্যস্ত এসব পণ্য উঠানামায়। আড়তগুলোর ভেতর ও বাইরে স্তুপ করে রাখা হয়েছে বস্তা। তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অনেক আড়ত ছিল ক্রেতাবিহীন। মালিক ও কর্মচারী বসে অলস সময় পার করছেন।
খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের সরবরাহ বাড়লেও বেচাবিক্রি তেমন একটা বাড়েনি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
শনিবার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে প্রতিকেজি চীনা আদা ১৪০ টাকা, রসনু ৫৭ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৩-২৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মহিউদ্দীন সুপ্রভাতকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের কোনো ঘাটতি নেই। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য প্রতিদিন খাতুনগঞ্জে ঢুকছে। কাজেই সংকট ও দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’ তবে ক্রেতা কম ও বেচাবিক্রি তেমন হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এদিকে খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৮ টাকা, রসুন ৭৫-৮০ টাকা ও আদা ১৫০ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ী মোরশেদুল আলম সুপ্রভাতকে বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কম ছিল। এ নিয়ে ক্রেতারাও ছিল খুশি। তবে হঠাৎ দাম বেড়েছে আদার। শনিবার খাতুনগঞ্জে চায়না আদার পাইকারি দর ছিল ১৪০ টাকা। অথচ গত দুই সপ্তাহ আগেও কিনেছে ১১৫-১২০ টাকায়। হঠাৎ কেন দাম বাড়ল জানি না। অথচ আড়তগুলোতে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের অভাব নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মহিউদ্দীন আদার দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘চীনা আদা এক সপ্তাহের বেশি আড়তে রাখা যায় না। পচন ধরে। করোনা ভাইরাসের কারণে বেচাবিক্রি একবারেই কমে যাচ্ছে। অনেক আড়তেই বেচাবিক্রি নেই। পণ্য পচে যাচ্ছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ তবে দাম শীঘ্রই কমবে বলে জানান তিনি।
এ মুহূর্তের সংবাদ