স্টিলমিল মালিকদেরকে প্রশাসক
সিটি করেপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রামে যে স্টিল মিলগুলো সেগুলোও দেশের উন্নয়নের অংশীদার। তবে আপনাদের ভারী যানবাহনগুলো সিটি করপোরেশনের সড়ক ব্যবহার করছে। এতে করে সড়কের ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্তি চাপ পড়ছে। এ জন্য সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার করে ভারী যান চলাচলের উপযুক্ত করে রাখার জন্য সার্ভিস চার্জ চসিক পেতে পারে। আপনারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে বসে চসিকের জন্য একটি সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে পারেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টাইগারপাস চসিক প্রশাসকের দপ্তরে স্টিলমিল মালিকদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে প্রশাসক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে যে কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো স্থাপন করা হয়েছে, তা মোটেই পরিকল্পিত নয়। কথা ছিল বন্দরের ২০ কি.মি. পরেই কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো থাকবে। অথচ এই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বন্দরের প্রবেশ মুখে যত্রতত্রভাবে এসব ইয়াড স্থাপন করা হচ্ছে। এতে চট্টগ্রামে যানজট হচ্ছে এবং বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোডের স্টিলমিলগুলোর যে লরিগুলো পিসি রোড দখল করে রাখে, তা আগামী দুই একদিনের মধ্যে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, রাজস্ব র্কমর্কতা সাহিদা ফাতেমা, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএসআরএম’র পরিচালক তপন সেনগুপ্ত, কেএসআরএম’র পরিচালক সৈয়দ নজরুল আলম, আবুল খায়ের গ্রুপের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহিদুল্লাহ চৌধুরী, জিপিএইচ ইস্পাতের মিডিয়া অ্যাডভাইজার অভীক ওসমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি