পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে নগরবাসীর প্রতি অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মুসলিম উম্মাহ, দেশবাসী ও বিশ্বমানবতার কল্যাণ শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি এবং মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রাণ-প্রকৃতির সুরক্ষা কামনা করেছেন।
এক বার্তায় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী এক অদৃশ্য প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণের অপ্রতিরোধ্য বিস্তারের অশুভ থাবার মধ্য দিয়ে মাহে রমজান শেষে ঈদ-উল-ফিতরে খুশি হারিয়ে গেছে। কারণ পৃথিবী আজ গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন, মানুষ ও প্রাণ প্রকৃতির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার উাপর যুক্ত হয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্পানের ভয়াবহ ছোবল। এতে যথেষ্ট ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে এবং করোনা থাবার সাথে আরেকটি প্রাকৃতিক অপঘাতের যন্ত্রণায় মানুষ কাতর। তারপরও আশার আলো অবশ্যই দেখতে হবে। তবে ¯্রষ্টার ইচ্ছায় জীবন প্রবহমান এবং এই জীবন রক্ষাই আমাদের আরাধ্য। জীবন রক্ষায় জীবিকা হলো অক্সিজেন। আজকের এই অদ্ভুত আধার একদিন কেটে যাবেই। কারণ ¯্রষ্টা তার সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। তিনি আমাদের রক্ষা করবেন। তার প্রতি ভরসা, আস্থা ও নিখাদ আনুগত্যই মুক্তির বার্তা বয়ে আনতে পারে। আমরা আবার আলো ঝলমল পৃথিবীতে ফিরে যাবো এবং করোনা-পূর্ব অর্থনৈতিক সক্ষমতার আলোকিত অধ্যায়ে আবার ফিরে যাবো- এই হোক পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রত্যাশা।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি নির্দেশনানুযায়ী এবার করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে নগরীতে কোনো খোলা জায়গায় ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। তবে মসজিদগুলোতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যক্ষ তদারকিতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদ কর্তৃপক্ষকে ঈদ জামাতের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের জন্য মসজিদ পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। তিনি মুসল্লিগণকে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় সম্ভব হলে নিজ নিজ জায়নামায হাতে নিয়ে মসজিদে প্রবেশের অনুরোধ জানান। মসজিদ পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে মসজিদের ফ্লোর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করার জন্য এবং মুসল্লিদের জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও স্যানিটাইজার রাখার অনুরোধ জানান। একই সাথে সামাজিক দূরত্ব মানার স্বার্থে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি সমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর