নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বহুল জনপ্রিয় আবাসন কোম্পানি এপিক প্রপার্টিজের নির্মানাধীন ১০টি আবাসন প্রকল্পে স্বাস্থ্য বিধি মেনে রাত-দিন কাজ চলছে। করোনার এই সময়ে লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সার্বিক বিবেচনা করে চট্টগ্রামের উন্নয়ন অবকাঠামোতে অবদান রাখা এই আবাসন কোম্পানির প্রতিটি নির্মানাধীন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে বিরামহীন কাজ করে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
এপিক প্রপার্টিজের পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, করোনাকালীন লকডাউন পরিস্থিতিতে কয়েকমাস সীমিত আকারে কাজ চললেও এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আমাদের সবগুলো প্রকল্পে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের হাতে তাদের স্বপ্নের এপার্টমেন্টটি তুলে দিতে এপিকের প্রকৌশলীগণ, প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মাঠ পর্যায়ের শ্রমিকরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ১০টির বেশি নির্মানাধীন আবাসন ও বাণিজ্যিক প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পসমূহ হলো ক্রাউন রিডজ এপিক সাউথ খুলশি কনডোমিনিয়াম প্রকল্প (টাওয়ার ২-৩); এস এস ক্রস টাউন এপিক কনডোমিনিয়াম প্রকল্প (লালখান বাজার হাই লেভেল রোড, গডস গিফটস এপিক (আসকার দিঘির পাড়), এপিক সালেহ সিয়েলো (কাতালগঞ্জ রেসিডেনটসিয়াল এরিয়া), এপিক হুদা প্যালাসিও (নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি ), এপিক ডি রিভারাইন (ফিরিঙ্গিবাজার), এপিক সোবহান প্যারাডাইস (ইস্ট চন্দনপুরা, ইস্ট লেইন) , এপিক নাইমুন আজাদ (চন্দনপুরা, ওয়েস্ট লেইন), এপিক হাদি ক্যাসেল (নবাব সিরাজজুদদৌলা রোড) অন্যতম। এছাড়ার ঢাকার চলমান প্রজেক্ট গুলোর কাজ ও চলছে প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, এপিক প্রপার্টিজ সব সময় আধুনিক নির্মানশৈলী এবং নান্দনিক নির্মান নিয়ে সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া এপিক প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সব সময় বদ্ধপরিকর থাকে। এর ফলে করোনা পরিস্থিতির কারনে শ্রমিক, কর্মকর্ত কর্মচারীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকমাস নির্মাণকাজ সীমিত আকারে চললেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কাজ চলছে পুরোদমে। এপিকের গ্রাহকদের হাতে প্রতিশ্রুত সময়ে তাদের স্বপ্নের এপার্টমেন্ট কিংবা বাণিজ্যিক ফ্লোরটি বুঝিয়ে দিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এপিকের প্রতিটি কর্মির স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রাত-দিন কাজ করা হচ্ছে।
এপিকের প্রকল্প সমূহে কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি কর্মির স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এপিক কর্তৃপক্ষ। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহার, জীবাণুনাশক স্প্রে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সরঞ্জামের সব কিছুই এপিক তার কর্মিদের সরবরাহ করছে। চলমান গতিতে প্রকল্পসমূহের কাজ অব্যাহত রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিটি প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে শেষ হবে এবং গ্রাহকরা তাদের স্বপ্নের একটি ঠিকানা বুঝে পাবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এপিকের কর্মকর্তারা।