ছাত্রলীগ নেতার প্রতারণার অভিযোগে নারী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :
ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ পূর্ব বারখাইনের শামীমা আকতার (৩২) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল নগরীর দামপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে আনোয়ারা বারখাইন এলাকার হাসান আলী মুন্সী বাড়ীর মো. সোলায়মান প্রকাশ লেদু মিয়ার মেয়ে।
ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান এর সিএম-৩ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় শামীমা আকতারকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকবাজার থানার এস আই রাজীব পাল।
জানা গেছে, ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে সাবেক দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিবুল ইসলাম আকিবকে ফাঁদে ফেলে কৌশলে শামীমা আকতার বিয়ে করতে বাধ্য করে। তবে সে তখন আকিবের কাছে তার স্বামী ও সন্তান আছে বিষয়টি গোপন করেছে। শামীমা নিজেকে অবিবাহিত বলে স্বামী ও সন্তান থাকার সত্ত্বেও আকিবকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার অভিযোগে সি আর মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বাদি আকিবুল হাসান আকিব জানান, শামীমা আকতারের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয় এবং পরে বন্ধুত্ব হয়। তখন সে আমাকে অবিবাহিত বলেন এবং আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। পরে একদিন সে আমাকে কৌশলে তার চকবাজারস্থ বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ৪/৫ জন লোকের উপস্থিতিতে বিয়ে করতে বাধ্য করেন এবং ১০ লাখ টাকা কাবিন দিতে বাধ্য করেন। বিয়ের পর জানতে পারি তার স্বামী সন্তান রয়েছে। বিষয়টি তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তখন সে আমাকে তালাক দিতে বলে অন্যথায় নারী নির্যাতন মামলা দিবে বলে আমাকে হুমকি-দমকি দিতে থাকে। পরে সে মামলা করে। শামীমা এর আগে আইয়ূব নামের এক ব্যবসায়ীকেও আমার মত ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। আইয়ূবের কাছ থেকে নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে তালাক নেয় এবং কাবিনে টাকা আদায় করেন। শামীমা প্রতারণার এসব ফাঁদ পাতেন তার প্রথম স্বামী লোকমান হোসেন শাহীনকে নিয়ে। তারা স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন প্রতারণার মামলাও রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ওসি রহুল আমীন বলেন, সি আর প্রতারণা মামলায় শামীমা নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।