সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অবদান কম নয়। সেই সময়ে ভারতের বিভিন্ন শহরে ফুটবল খেলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি করেছেন জাকারিয়া পিন্টু-সালাউদ্দিনরা। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেই স্মৃতিময় জার্সি অবশ্যই ঐতিহাসিক একটি স্মারক। তাই এখন এখন থেকে এটি শোভা পাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।
রবিবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের হাতে জার্সিটি তুলে দেওয়া হয়।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে অনেকে খেললেও নরসিংদীর ফুটবলার সুভাষ চন্দ্র সাহার কাছ থেকে মিলেছে এই জার্সি। নিজের ১৩ নম্বর জার্সিটির হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই সাবেক ফুটবলার বলেছেন, ‘এই জার্সিটি অমূল্য। এই জার্সিটি এখনও সযত্নে রয়েছে। এর অবদান আমার চেয়ে আমার স্ত্রীর বেশি। তিনিই মূলত এই জার্সির যত্ন করেছেন।’
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না আজকের এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা। এই সংগঠক সেদিনের স্মৃতি তুলে ধরে বলেছেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করেছি ভারতে। দুদিনের বেশি সময় ট্রেনে শুইয়েও কাটিয়েছি। আমরা সবাই দেশের জন্যই মূলত খেলেছি এবং প্রচার করতে চেয়েছি বাংলাদেশ নতুন স্বাধীন দেশ হচ্ছে।’
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা ঢাকায় যুদ্ধ করেছি আর তারা দেশের বাইরে আমাদের জন্য খেলেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অবদান অনেক। যুদ্ধের সময় আমরা প্রতিদিন স্বাধীন বাংলা বেতার, চরমপত্র অনুসরণ করতাম। সেই সময়গুলোতে স্বাধীন বাংলা দলের খবর আগ্রহ নিয়ে শুনতাম।’
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে রাষ্ট্র থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত।’
এই জার্সি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কানাডা থেকে ২৭ বছর পর আসা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ফুটবলার এনায়েতুর রহমান ও আশরাফ আলী। এছাড়া ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ট্রাস্টি বোর্ডের কর্মকর্তা সারা জাকের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।