স্বল্প খরচে ছোট প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে’

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবিরের সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দল

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘এখন থেকে বড় প্রকল্পের সঙ্গে স্বল্প খরচে ছোট ছোট প্রকল্প দ্রুত তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে।’

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কক্ষে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংলির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছে। এ সময় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্প সময়ে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন, তা সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি সুইস কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার জন্য স্বাগত জানান।

উপদেষ্টা সম্প্রতি মাতাবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্রবন্দর, অর্থনৈতিক জোন, রেললাইন ও সড়ক প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে এর থেকে প্রকৃত সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি খরচে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা ভ্যালু ফর মানি হয়নি।

এ সময় তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও উন্নত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তা চান। সুইস ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ উন্নয়নকাজে অংশগ্রহণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের জন্যও আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এটা চ্যালেঞ্জিং কাজ।’ এ সময় বর্তমান সরকারের স্বল্প সময়ে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিতর্কিত আইন স্থগিত ও বিআরসি আইনের ৩৪ক ধারা বাতিল, ওপেন টেন্ডার, সচিবদের তাদের আওতাধীন কোম্পানির চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণসহ গৃহীত পদক্ষেপগুলো এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেন।