টেকনাফ খায়ুকখালী ঘাট , দুজন আহত, শিশু নিখোঁজ
নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা খায়ুকখালী এলাকার ঘাটে ফিশিং বোটের ধাক্কায় সেন্টমার্টিনগামী স্পিডবোট ডুবে গেছে। এতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হল রশিদা বেগম (৫৮) ও মেহের নিছা (৬০) । সুমাইয়া আক্তার (৭) নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে টেকনাফের পৌরসভা খায়ুকখালী পাড়া জেটি ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে আসার জন্য পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন স্পিডবোটে ৪ জন মহিলাসহ ১১ যাত্রী উঠেন। এর চালক ছিলেন মোহামদ কায়সার।
খায়ুকখালী ঘাট থেকে রওয়ানা হওয়ার পথে টেকনাফগামী ফিশিং বোটের সাথে ধাক্কা লেগে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এতে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের স্ত্রী মেহের নিছা (৬০) কক্সবাজার নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। একই এলাকার বাসিন্দ রশিদা বেগম টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা যায় এবং পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আয়াছের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৭) নিখোঁজ রয়েছে।
পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা জামাল হোসেনের স্ত্রী বেগম বাহার এবং মোহাম্মদ আমিন টেকনাফ মেরিন সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে সেন্টমার্টিন সার্ভিসবোট মালিক সমিতি টেকনাফ কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ জুবাইর জানান, এক শিশু নিখোঁজসহ ২ জন মহিলা মারা যায়। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত মোহাম্মদ আমিন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী ও চালক মাদকাসক্ত হওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে আমি মাকে হারিয়েছি। আমি তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মোহাম্মদ আয়াছ কান্নাজড়িত হয়ে বলেন, আমার মা ও মেয়ে সুমাইয়া কোথায় হারিয়ে গেল। মাদকাসক্ত চালকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দ্বীপবাসী।