সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
২০১১ সাল। আইপিএল নিলামে অবিক্রিত বাংলার মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি কলকাতার দল নাইট রাইডার্সও তাকে রিটেন করেনি কিংবা নিলামেও তাকে কেনেনি। অবিক্রিত থাকার পর পরবর্তীতে পুনে ওয়ারিয়র্সে সুযোগ পান তিনি। কিন্তু এই ঘটনা তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছিল বাংলায়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক, বাংলা ক্রিকেটের অন্যতম আইকনকেই দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন ক্রিকেট ভক্তরা। অবশেষে ৯ বছর পর সেই বিষয়ে মুখ খুললেন কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর। স্পষ্ট জানালেন, সৌরভকে বাদ দেওয়ার জন্য কখনওই তাকে দোটানায় ভুগতে হয়নি। তার কাছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া জলের মতোই সহজ ছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বেঙ্কি মাইসোর। সেখানেই তাকে বলতে শোনা যায়, আমি এটাকে দু’টো ভাগে ভাগ করতে চাই। ব্যক্তিগতভাবে, আমার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কখনওই কঠিন ছিল না। কারণ আমি তখনও সৌরভের সঙ্গে অতটা জড়িত ছিলাম না। যদি আমি কেকেআরের সঙ্গে এক, দুই বা তিন বছর ধরে থাকতাম, তাহলে ওই সিদ্ধান্তটা নেওয়া আমার পক্ষে খুব কঠিন হত। এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, সৌরভকে না নেওয়ার সিদ্ধান্তটা আমার ছিল। আমি পুরোপুরি বাইরে থেকে এসেছিলাম। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়নি। কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং দলের মালিকদের তরফে এটা করা অনেক বেশি কঠিন ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ এবং ২০১০ সালে কলকাতার হয়ে অধিনায়কত্ব করেছিলেন সৌরভ। কিন্তু ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। অন্যদিকে, ২০১১ সালে ১১.০৪ কোটি টাকা দিয়ে গৌতম গম্ভীরকে কেনে নাইটরা। তাকেই দেওয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্ব। ওই বছর প্রথমবার শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল কলকাতার দলটি। পরের বছর ২০১২ সালে প্রথমবার টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নও হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিকে ওই বছরই শেষবার পুনের হয়ে আইপিএলের ম্যাচ খেলেন সৌরভ। খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা