সেমিতে পর্তুগালের সামনে জার্মানি

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

প্রথম লেগেই ২-১ গোলের জয়ে সেমির পথে অনেকটা এগিয়ে ছিল জার্মানি। ইতালির এই ব্যবধান টপকে সেমিতে উঠতে হলে অন্তত ২ গোলের ব্যবধান প্রয়োজন ছিল। জার্মানিতে গিয়ে ২টি নয়, ৩ গোল দিয়েছিল আজ্জুরিরা, কিন্তু ৩ গোল দিলে কি হবে, উল্টো ৩টি গোল যে হজমও করতে হলো! গোলের ব্যবধান জার্মানির পক্ষে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে ইতালিকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো জার্মানি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জার্মানি পেলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে। যারা ৫-২ গোলে ডেনমার্ককে হারিয়ে সেমিফাইনালে নাম লিখেছে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জার্মানি প্রথমার্ধেই তিন গোল করে বসে। জসুয়া কিমিখ, জামাল মুসিয়ালা এবং টিম ক্লিনডিয়েনস্ট। দ্বিতীয়ার্ধে এসে তিন গোল করে ইতালি। এর মধ্যে জোড়া গোল করেন মইসে কিন এবং অন্য গোলটি করেন জিয়ানকোমো রাসপাদোরি।
এদিকে বয়স ৪০ পার হলেও জাতীয় দলে খেলছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বয়স বেশি, ফলে জাতীয় দলে খেলা প্রতিটি ম্যাচই তার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। কারণ, পারফরম্যান্স কম দেখালে তাকে বাদ দিতে হয়তো কোচ দ্বিতীয়বার ভাববেন না। ডেনমার্কের বিপক্ষে উয়েফা নেশন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ০-১ গোলে হেরে গিয়েছিলো পর্তুগিজরা। কোপেনহেগেনে রোনালদোকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তখনই তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো। যে কারণে ফিরতি লেগের ম্যাচটি ছিল সিআর সেভেনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচেও খারাপ খেললে, হয়তো পরবর্তীতে পর্তুগাল দলে ‘বয়স্ক’ রোনালদোর অন্তর্ভূক্তি নিয়ে বড় একটা প্রশ্ন তৈরি হবে। লিসবনে রোববার রাতে ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিলেন সিআর সেভেন। নিজেই স্পট কিক নেন, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ডেনিস গোলরক্ষক ক্যাস্পার স্মেইসেলকে ফাঁকি দিতে পারেননি। পেনাল্টি মিস। তবে, পেনাল্টি মিস করাটাই যেন তাঁতিয়ে দিয়েছে রোনালদোকে। এরপর তিনি অসাধারণ ফুটবল খেললেন। নিজে একটি গোল করেছেন। দলের জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাও’র জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ফিরতি লেগে ডেনমার্ককে ৫-২ গোলে এবং দুই লেগে মিলে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেলো পর্তুগিজরা।