নিজস্ব প্রতিনিধি, সীতাকুন্ড »
গোলাগুলি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সীতাকু-ে ইউপি নির্বাচন। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ের ২ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থীর দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির সূত্রপাত হয়। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ৭ জন গুরুতর আহত হন। এই দুই কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে ভোট বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোগগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যে বাঁশবাড়িয়া ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রে ব্যাপক গোলাগুলি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ তিনটি কেন্দ্রে ৭ জন গুরুতর আহত হয়ে সীতাকু- ও চট্টগ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে বাঁশবাড়িয়া ইউনিযনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড নাথপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের সাথে মেম্বার প্রার্থীর সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যের অস্ত্র ভাঙচুর হয়। এই কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহদাত হোসেন কামরুল ও তার ভাই আহত হন। দুপুর দেড়টায় নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসান ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ২টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, তাই এই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
সীতাকু- মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি করায় বাঁশবাড়িয়া ও সোনাইছড়ির ৪ মেম্বার প্রার্থীকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সীতাকু-ে ৯টি ইউনিয়নের ৫টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। বাকি ৪টিতে নৌকার বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেন।