কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড
সীতাকুণ্ডে আগুনে ১১টি দোকানঘর ও গোডাউন পুড়ে গেছে। গতকাল রোববার সকাল ৭টায় উপজেলার পৌর সদরের কলেজ রোডে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
আগুনে ছাই হওয়া দোকান ও গোডানগুলি হল, বিশ্বজিত সেন্টার ও গোডাউন, বেলালের ফোমের দোকান ও গোডাউন, বাবুলের লেপ তোষকের দোকান, শাহীন ইলেক্ট্রিক, রইছ উদ্দিনের প্লাস্টিকের ফুলের দোকান, স্টার লাইব্রেরি, মফিজ ব্রান্ড পার্টি, কবীবের (দা, ছুরি, পাপোস) দোকান, সাইফুলের চা‘র দোকান, মার্সি লাইব্রেরির গোডাউন।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিত ফোম সেন্টার নামের একটি লেপ তোষকের গোডাউনে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা আশপাশের কয়েকটি দোকান ও গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তার আগেই ১১টি দোকান ও গোডাউন সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিক ও স্থানীয় কাউন্সিলর দিদারুল আলম অ্যাপোলো বলেন, ‘তোষকের একটি দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার কথা শোনা যাচ্ছে। প্রতি বছর একবার করে এ পর্যন্ত পর পর তিন বছর এই দোকানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এবারের আগুনে আমার ও ব্যবসায়ীদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
তবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দেরি করে আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকাল সাতটার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে সাড়ে সাতটার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কন্টোল রুমের দূরত্ব এখানে থেকে ১কিলোমিটার। মাত্র এইটুকু আসতে আধঘণ্টা সময় লেগেছে, তারা যদি আরো আগে আসতে পারত অনেক কিছু বাঁচানো যেত, ক্ষয়ক্ষতিও কম হত।
ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করে সীতাকুণ্ড অফিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল বলেন, ‘আমাদের গাড়ি খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছার চেষ্টা চালায়, সীতাকুণ্ড কলেজ রোডের মুখে প্রবেশের সময় তীর্থ মেলার জন্য নির্মিত বাঁশের গেটের কারণে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বড় গাড়িটি প্রবেশে সর্বোচ্চ ৫মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে। সবগুলি দোকানের অবকাঠামো ছিল বেড়া ও টিনের এবং বেশিরভাগ দোকান ছিল বই খাতা ও লেপ তোষকের, তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা দেড় ঘণ্টায় দুটি ইউনিট নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।
বাঁশবাড়িয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক স্টার লাইব্রেরির মালিক সুভাষ চন্দ্র নাথ জানান, আমার শিক্ষা জীবনের জমানো সমস্ত ইনকাম এই লাইব্রেরিতে পুড়ে গেলো। কোথায় যাব কি করব, কিভাবে বাঁচব, আমার কিছু রইল না। মার্সি লাইব্রেরির মালিক রেজাউল করিম জানান, আমার কয়েক লক্ষ টাকার বই খাতার গোডাউন জ¦লে ছাই হল চোখের সামনেই।