সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
দাপট দেখিয়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারায় দারুণ খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অথচ ওয়ানডে সিরিজের আগে টেস্ট ও টি-২০ সিরিজ হেরেছিল টাইগাররা। ওয়ানডে দলের দুই সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে ছাড়াই এমন অর্জনে গর্বিত তামিম।
গত শনিবার রাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শেষে তামিম বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই আমাদের এমন অর্জনে আমি গর্বিত। আমরা ঘরের মাঠে সবসময়ই ভালো খেলি। কিন্তু এটা ব্যাক টু ব্যাক অ্যাওয়ে সিরিজ জয় আমাদের। আমি দল নিয়ে খুবই গর্বিত। খবর ডেইলি-বাংলাদেশ’র
তিনি আরো বলেন, আপনি জানেন যে এটি সহজ সিরিজ ছিলো না। যদিও আমাদের ভাল স্পিনার ছিল। বোলাররা দারুণভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। অবশ্যই আমরা শীর্ষ ৫ থেকে তিনজন খেলোয়াড়কে মিস করছি। তাই দলের বাকীদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ ছিল। আমি মনে করি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু হচ্ছে। দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শেষ ওয়ানডেতে বেঞ্চের শক্তির পরীক্ষার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তামিম। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছাতেই সেটি আর হয়নি। এ ব্যাপারে তামিম বলেন, এটা (বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা) অবশ্যই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমি যখন কথা বলেছি, তখন তারা মনে করেছে আমাদের উচিৎ পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে নামা। আমরা সেটাই করেছি। একটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। পেসার শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে স্পিনার তাইজুল ইসলামকে দলে নেয়া হয়। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন তাইজুল। ২৮ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। তামিম বলেন, আমাদের একটাই পরিবর্তন করার কথা ছিল। কারণ আমরা জানতাম একই উইকেটে খেলতে যাচ্ছি। তাই একজন পেসারকে কমিয়ে তাইজুলকে খেলানো হয়েছে। কিন্তু আমি যে কথা বলেছিলাম, সেটাই অবশ্যই আমার ইচ্ছা ছিল। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা বলেছে, সেটাতেও আমি কনভিন্সড। দল যখন ভালো করছে, তখন শেষটা ভালোভাবে করা উচিত। পুরো সিরিজে স্পিনাররা দাপট দেখালেও ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১১৭ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের চেয়ে আমাদের স্পিনাররা ভাল করায় আমরা সিরিজ জিতেছি।
তামিম আরো বলেন, আমরা যাকেই সুযোগ দিয়েছি, প্রত্যেকেই সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছে। তাইজুল আজকের সেরা উদাহরণ। পুরো সফরে সে আমাদের সঙ্গে ছিল এবং একটি ম্যাচেও সুযোগ পায়নি। প্রত্যেক অনুশীলন সেশনেই সে থাকতো। যখন সে সুযোগ পেলো, তখন নিজেকে প্রমাণ করলো। তার জন্য খুব ভালো লাগছে। সাকিব-মুশফিকের না থাকায় যারা সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন তাদের নিয়ে খুশি তামিম। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের প্রশংসা করেছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আমি অবশ্যই খুশি হতাম যদি মোসাদ্দেক বা আফিফ খেলাটা শেষ করে আসতো। আমি কিন্তু আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই সিরিজে সাকিব-মুশফিক নেই। তারা ফিরলে কিন্তু এখান থেকে দুই জনকে বেরিয়ে যেতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, আপনি যদি সোহানের উদাহরণ দেখেন, সে প্রায় জায়গা পাকা করে ফেলছে। সামনে যদি অন্যদের কারণে তাকে খেলা মিস করতে হয় তবে অপেক্ষমাণ হিসেবে সবার আগে সে-ই থাকবে। তাই এরকম সুযোগ এলে যতটা সম্ভব তা কাজে লাগানো উচিত। এই সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় স্পিনার নাসুম আহমেদের।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তিনি। নাসুম-মিরাজের প্রশংসাও করেন তামিম, ‘নাসুম যেভাবে বল করেছে, তা দারুণ ছিলো। মিরাজ তো আমাদের হয়ে সবসময়ই ভালো করছে।’