সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। ফিটনেসের কারণে সাকিব নেই, তামিম তো ইনজুরিতেই ছিটকে গেছেন। অভিজ্ঞ এই তিন ক্রিকেটারকে ছাড়াই অধিনায়ক মুমিনুল হককে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে নামতে হচ্ছে। সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে পরিস্থিতিটা বেশ কঠিন বলা চলে। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল হকও সেটি অস্বীকার করলেন না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের আগে ঘুরে ফিরে এলো সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রসঙ্গ। সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহদের হারিয়ে মুমিনুলের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘সিনিয়র ক্রিকেটার নেই। তরুণ অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার জন্য ও দলের সবার জন্য হতাশাজনক। তবে ওই জায়গায় পড়ে থাকলে হবে না। নতুন যারা খেলবে, জুনিয়র যারা আছে, সবার জন্য এটা নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ।’
টেস্ট ক্রিকেটে সিনিয়র ক্রিকেটাররা না থাকলে জুনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য সাফল্য পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। মুমিনুলের মন্তব্য তেমনই, ‘সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব ভাই, তামিম ভাই, তাসকিন, এরকম ক্রিকেটাররা না থাকলে জুনিয়র অধিনায়ক হিসেবে আমার কাজটা কঠিন হয়ে যায়। তবে ব্যাপারটি চলমান প্রক্রিয়া। সবসময় সবাইকে পাবো না। এটা নিয়ে হতাশায় পড়ে থাকলে হবে না। যারা আছে, তাদের নিয়েই এগোতে হবে।’
সিনিয়রদের ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করা কতটা কঠিন? এমন প্রশ্নে মুমিনুল বলেছেন, ‘কঠিন বলবো না। কঠিন বললে নেতিবাচক হয়ে যায়। তবে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ যারা, সাকিব ভাই, তামিম ভাই…। তামিম ভাই ওপরে ভালো খেললে আমাদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। সাকিব ভাই একা দু’জনের সমান। তাসকিনের অবস্থা খুব খুব ভালো ছিল, দারুণ বল করছিল। সেদিক থেকে বলবো যে চারটা ক্রিকেটার নেই।’
এই পরিস্থিতিতে সিনিয়রদের অভাব পূরণে দায়িত্বটা মুশফিক ও নিজের কাঁধে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি, ‘আমার কাছে মনে হয়, অধিনায়ক হিসেবে বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে জুনিয়রদের জন্য এটা ভালো সুযোগ। হয়তো আমার, মুশফিক ভাইকে একটু বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। জুনিয়রদেরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।’