নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার আসামি কারান্তরীণ টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের একটি দল নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ঘটনায় তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এর দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিত ও সাত পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পৃথকভাবে তাদের রিমান্ড আবেদন এবং মঞ্জুর করা হয়। এরমধ্যে সাত পুলিশ ছাড়া অন্য তিন আসামি টেকনাফ বাহারছড়ার বাসিন্দা এবং সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী। পরে তাদের সিনহার পরিবারের দায়ের করা মামলায় আসামি দেখিয়ে গ্রেফতার করে র্যাব।
ইতোমধ্যে ওই দিন সাক্ষী এবং চার পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং তাদের রিমান্ড এখনো চলছে। অবশিষ্ট তিন শীর্ষ আসামি বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে মঙ্গলবার রিমান্ডের জন্য হেফাজতে নিলো র্যাব। গত ৬ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ তিন আসামির প্রত্যেককে ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
মামলার বাকী এজাহারভুক্ত ৪ আসামি পুলিশের বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, সন্দেহজনক ৩ আসামি টেকনাফের বাহারছরার মারিশবনিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিন নাজু’র পুত্র নুরুল আমিন, নজির আহমদের পুত্র নিজাম উদ্দিন ও জালাল আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আয়াছ গত ১৪ আগস্ট থেকে রিমান্ডে রয়েছেন।
এ ৭ জন আসামিকে রিমান্ড করার জন্য কারাগার থেকে গত ১৪ আগস্ট সকালে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার আইও সিনিয়র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম এর হেফাজতে নেন।
প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই খুন হওয়া মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে খুন হন।