নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক »
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২১ আগস্ট দেশের সবগুলো বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। এর পরপরই চট্টগ্রামের সুবিধাবাদী ক্রীড়া সংগঠকরা অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য তৎপর হয়ে উঠেন। দীর্ঘ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিদায়ী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরউদ্দিনের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তারা বিএনপি-জামায়েত সমর্থক বনে গিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে দেখা করেন।
গতকাল (সোমবার) বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে একট্টা হয়ে চট্টগ্রাম ক্লাবে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবীন এবং প্রবীন কাউন্সিলরা মিলে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা নিয়ে করনীয় কি তা নিয়ে আলোচনা করেন কাউন্সিলররা। সেখানে সবার কন্ঠে একটাই আওয়াজ উঠে, তা হচ্ছে সুবিধাবাদীরা যেন রং বদলে আবার চেয়ার দখলে রাখতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সবাইকে। সবার কন্ঠে একটি আওয়াজই বেরিয়ে এসেছে তা হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের দায়িত্ব যেন সৎ, দক্ষ, নিবেদিতপ্রান ক্রীড়া সংগঠকদের হাতে উঠে। চট্টগ্রামের খেলাধুলার মান উন্নয়নে যারা নিরলসভাবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে অথচ যারা কখনো ক্ষমতার স্বাদ পায়নি তাদের যেন অ্যাডহক কমিটি হোক বা নির্বাচিত কমিটি হোক সবখানে মূল্যায়ন করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার সুলতানুল আবেদীন চৌধুরী, সাবেক জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় শাহজাদা আলম, সাবেক জাতীয় অ্যাথলেট শর্মিষ্ঠা রায়, সাবেক জেলা দলের ফুটবলার মোহাম্মদ শাহজাহান, সিজেকেএস কাউন্সিলর আকতার পারভেজ হিরো, সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, আলী ইকরাম রোমি, এম এ মুছা বাবলু, রাসেল, ক্রীড়া সাংবাদিক সাইফুল্লাহ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, ক্রীড়া সংগঠক আহসানুল হক চৌধুরী ইমাদ এবং মাহবুবুর রহমান সাগর।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিজেকেএস কাউন্সিলর কল্লোল দাশ। সভায় নতুন জেলা প্রশাসক যোগদান করলে তার হাতে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। অনুষ্ঠানে সিজেকেএস একাধিক কাউন্সিলর, সাংবাদিক, বর্তমান ও সাবেক ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়া সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।