প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ৫ নভেম্বর সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক »
নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, চট্টগ্রামের ‘ফুসফুস’ সিআরবি রক্ষায় আমরা টানা ৪৭০ দিন আন্দোলন চালিয়েছি, একদিনের জন্যও আন্দোলন থামেনি। চট্টগ্রামের সব পত্রিকা আমাদের সহযোগিতা করেছে। সুপ্রভাত সম্পাদক সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। সুপ্রভাত বাংলাদেশের আকুণ্ঠ সমর্থন এবং লেখনি আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। চট্টগ্রামের সম্পদ এবং ঐতিহ্য রক্ষায় এ পত্রিকার সাহসী ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রভাত বাংলাদেশ কার্যালয়ে সম্পাদক রুশো মাহমুদের সঙ্গে মতবিনিময়ে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের নেতারা এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের শুরুর দিকে অনেকেই নানা রকম বিরুপ মন্তব্য করেছেন। তবে আমাদের অনুভূতি জাগানোর ক্ষেত্রে কাজ করেছে সুপ্রভাত। সিআরবি বাঁচানোর আন্দোলনে এ পত্রিকা আমাদের সাহস জুগিয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেই আমাদের আন্দোলনের সংবাদ সবার কাছে পৌঁছেছে। সিআরবি রক্ষা পাচ্ছে সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে সুপ্রভাত।
তিনি আরও বলেন, সিআরবি রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর সিআরবিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমাবেশ এবং ৫ নভেম্বর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি প্রধান অতিথি এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ বলেন, অনিয়ম ও অসংগতি নিয়ে কথা বলে যারা তারাইতো নাগরিক সমাজ। নাগরিক সমাজ গোষ্ঠী বা রাষ্ট্রের লাগামহীন ক্ষমতাকে টেনে ধরতে পারে। প্রায় ৫০০ দিনের আন্দোলনে আমরা সে সত্যটাই দেখলাম।
তিনি আরো বলেন, সিআরবির সবুজ বাঁচানোর নিয়মাতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলা আন্দোলন চট্টগ্রামের ইতিহাসে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। চট্টগ্রামের পরিবেশ, ঐতিহ্য, সম্পদ রক্ষায় নাগরিক সমাজ সবসময় এগিয়ে আসবে এ দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের আছে। নিরবিচ্ছন্ন এ আন্দেলন করতে যেয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ঝড় বৃষ্টি -বাদল উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজের অগ্রসর মানুষ হিসেবে সময়ের প্রয়োজনে নাগরিক সমাজ বার বার এগিয়ে আসবেন। আরো নানা ইস্যুতে চট্টগ্রামবাসীর পাশে তাদের থাকতে হবে। আমরা নাগরিক সমাজের কর্মসূচির পরিসমাপ্তি চাই না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সমাজের নেতা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দীন বাবুল, বণমালী চক্রবর্তী, বেলায়েত হোসেন, প্রণব চৌধুরী, সৈয়দ নাফিজ উদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, মোরশেদুল আলম চৌধুরী, নুরুল হুদা চৌধুরী, আব্দুল মজিদ বিপ্লব, শিল্পী অসীম দাশ গুপ্ত প্রমুখ।