সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’

আরও লিখেছেন, ‘সারাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল ইউনিটকে স্থানীয় ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো যাচ্ছে।’

বুধবার (১৮ জুলাই) গোপালগঞ্জে সমাবেশ ছিল এনসিপির। সেই মতো সেখানে যান নতুন রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীরা। তবে দুপুরে গোপালগঞ্জ পোঁছানোর পরই এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ।

এদিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে হঠাৎ করে মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চে চড়াও হয়। এসময় সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করার পাশাপাশি এনসিপির উপস্থিত নেতাকর্মীদেরও মারধর করে তারা। কিন্তু হামলার পরও সমাবেশে অংশ নেন এনসিপি নেতারা।

পরে সমাবেশ শেষে দুপুরের দিকে আরও এক দফা হামলা চালানো হয়। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। হামলারকারীরা তাদের ওপরও চড়াও হয়। পরে অনেককে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

এই সংঘর্ষের জেরে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনো কাজ করছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এছাড়া চার প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে এই হামলার ঘটনার পর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, তারা যদি গোপালগঞ্জ থেকে বেঁচে ফেরেন, তবে মুজিববাদের কবর রচনা করে ছাড়বেন।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টের মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সারজিস। একইসঙ্গে সেখানকার পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগও করেন।

তিনি লিখেন, ‘গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালেরা আমাদের উপরে আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে, পিছু হটছে। আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি, তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না।’

সারা বাংলাদেশের মানুষকে গোপালগঞ্জের ছুটে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আরও লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জের বিবেকবান ছাত্র-জনতা জেগে উঠুন। দালালদের কবর রচনা করার আজকেই শেষ দিন।’