সুপ্রভাত ডেস্ক »
দুর্গাপূজার সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দির, পূজা মণ্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুর জেলার মুখ্য মহানগর বা বিচারিক হাকিমকে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বসতি, জীবন ও সম্পত্তির ওপর হামলা ঠেকাতে সরকারের স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নিষ্ক্রীয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পদ ও উপাসনালয়ের সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নের্দশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
গত ১৩ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজার মণ্ডপ, মন্দির, বসতি, জীবন ও সম্পত্তির ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি বিভাগ) সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কুমিল্লা, চাদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ২১ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ফেইসবুকে লিখেছেন, ২১ অক্টোবর এফিডেভিট করার পর ২৪ অক্টোবর এ আবেদনটি শুনানির তালিকায় ছিল, কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল বিদেশে থাকায় সময় নেওয়া হয়। ২৬ অক্টোবর কার্যতালিকায় এলে সেদিনও সময় নেওয়া হয়।
“গতকাল (বুধবার) শুনানির জন্য ধার্য ছিল, কিন্তু সিনিয়র আইনজীবী জনাব আব্দুল বাসেত মজুমদার মহোদয়ের অন্তিম প্রয়াণের কারণে আদালত তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকেন। আজ শুনানি হয়।”
দুর্গা পূজার সময় কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কুমিল্লা হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয় হিন্দু সম্প্রদায়।
এসব ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস রুল ও নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
সূত্র : বিডিনিউজ