সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হল ১৬ জন

সুপ্রভাত ডেস্ক »

জুলাই-আগস্টে ‘হত্যা-গণহত্যা’র মামলায় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সাবেক ১২ মন্ত্রীসহমোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা  হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে তাদের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।

এদিন যাদের হাজির করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

১৬ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টে ‘হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সময় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ দুটি মামলারই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে ১৮ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

ওইদিন সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।