সাবেক অধিনায়কদের সাথে বিসিবি সভাপতির সভা

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

হঠাৎ শেরে বাংলার বিসিবি ভবনে বৈঠক। সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে বসলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। কী এমন জরুরী প্রয়োজন? কেন কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে বৈঠক ফারুক আহমেদের? শেরে বাংলার আশেপাশে গুঞ্জন-আলোচনা। এমন কিছু নয় যে আজকের মধ্যেই আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে, সেজন্যই এমন হুট করে বৈঠক। প্রয়োজনটাকে জরুরী বলা যাবে না। তবে গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে। দেশের ক্রিকেটের ভালো-মন্দ, সংকট কিংবা উন্নতির জন্য করণীয়, এসব নিয়ে সাবেক অধিনায়কদের চেয়ে ভালো পরামর্শ তো আর কেউ দিতে পারবেন না। ফারুক আহমেদ সেই সম্মানটাই সাবেক অধিনায়কদের দিয়েছেন। বাংলাদেশ দলের অন্যতম সফল সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের কথা শুনে মনে হলো, তারা বেশ সন্তুষ্ট। দারুণ কিছু বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে। হাবিবুল বাশার জানালেন, ‘বিপিএল, জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল), ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) অর্থাৎ ঘরোয়া ক্রিকেটের বিভিন্ন টুর্নামেন্টসহ জাতীয় দলের অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় দলের অধিনায়কদের চিন্তাভাবনা কী, কীভাবে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি করা যায়, কোন কোন জায়গায় ঘাটতি আছে; সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এককথায় বলা যায়, চা-চক্রের ফাঁকে ক্যাপ্টেনস থটগুলো জানতে চেয়েছেন বিসিবি সভাপতি।’
বিসিবি সভাপতির এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা, রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার নাফীস, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ আশরাফুল, খালেদ মাহমুদ সুজন, মুমিনুল হক আর লিটন দাস। সাকিব আল হাসান দেশে নেই। মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং নাইমুর রহমান দুর্জয়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনেকটাই অনুমেয়, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণেই তারা আমন্ত্রণ পাননি। সাকিব-মাশরাফি-দুর্জয় তিনজনই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংসদ সদস্য ছিলেন। সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান পারিবারিক কারণে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। শফিকুল হক হীরাও ঢাকার বাইরে। তামিম ইকবাল, খালেদ মাহমুদ সুজন, খালেদ মাসুদ পাইলট উপস্থিত থাকতে পারেননি। কী কারণে, তা জানা যায়নি। মিটিংয়ে ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল, রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার নাফীস, মুমিনুল হক আর লিটন দাস। হাবিবুল বাশার জানালেন, ‘সাবেক অধিনায়কদের মতামত নেওয়া হয়েছে। লিটন-মুমিনুলের মতো এই প্রজন্মের দুই অধিনায়কের ভাবনাও শোনা হয়েছে। তারা এই সময়ের ক্রিকেট সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন, তাদের ভাবনা শেয়ার করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ আলোচনা হয়েছে।’ জাতীয় দলের যে অধিনায়কদের নিয়ে বিসিবি সভাপতি বসেছিলেন, সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তাদের প্রত্যেকের অবদান এবং আলাদা একটা অবস্থান আছে। তাদের চিন্তাভাবনাগুলো অবশ্যই বাংলাদেশ ক্রিকেটে বাড়তি কিছু যোগ করবে। এখন প্রশ্ন হলো, এটা কি শুধু আলোচনায়ই সীমাবদ্ধ থাকবে? বিসিবি সভাপতি কি তাদের কথাগুলো শুধু মতামত হিসেবেই নেবেন, নাকি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো কাজে লাগাবেন? সেটাই দেখার অপেক্ষা।