নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, নানা প্রতিকূলতা স্বত্বেও বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এগিয়ে যাচ্ছে। সাবরিনারা দেশের গর্বের ধন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ইনানী এলাকায় বে-ওয়াচ হোটেল গ্রাউন্ডে জমকালো উৎসবের মাধ্যমে নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাফ জয়ের ঐতিহাসিক অর্জনের স্বীকৃতি দিতে বাংলার বাঘিনী খ্যাত নারী ফুটবল দলকে এ সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, একাধিকবার সাফ জয়ের মাধ্যমে নারী ফুটবল দল এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। উৎসবের আমেজে সংবর্ধনার এ আয়োজন নারী ফুটবলারদের প্রেরণা যোগাবে।
আগামীতেও নারী ফুটবলাররা দেশের সম্মান অক্ষুণ্ন রেখে বড় অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে বলে আশা করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি আরও বলেন, দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনীতেও নারী ফুটবল দল গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর নারী ফুটবল দল বেশ সফলতাও অর্জন করেছে।
আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মুহাম্মদ নাজমুল হাসান, সেনা বাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, সাফ জয়ী নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনার আনন্দঘন এই আয়োজন অনুপ্রেরণা যোগাবে। শুধু সাফ নয়, এএফসি কাপ জেতারও স্বপ্ন দেখছে নারী ফুটবলাররা।
সংবর্ধনার পাশাপাশি সাফ জয়ী নারী ফুটবল দল, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের এক কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়। নারী দলের প্রত্যেক সদস্য পেয়েছেন ৪ লাখ করে অর্থ পুরস্কার। পাশাপাশি টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিতে ঋতুপর্ণা চাকমা এবং সেরা গোলকিপার রূপনা চাকমাকে অতিরিক্ত এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে পুরস্কৃত করা হয়। দলের কোচ ও কর্মকর্তাদের দেওয়া হয় অর্ধলাখ টাকা করে পুরস্কার।
দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা ঘিরে নারী ফুটবলারদের সাথে পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেয়ার সুযোগ পান।