সুপ্রভাত ডেস্ক »
নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠার চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক সপ্তাহের সময় দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে ২৫তম অধিবেশন শুরু হয় বিকেল ৪টায়। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন। খবর ঢাকা পোস্ট।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত ব্রিকস জোট ২০১৪ সালে অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্যা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সাক্ষরের মাধ্যমে নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) নামে একটি বহুজাতিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে ৫টি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরসহ মোট ৮টি দেশ এর সদস্য। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ এনডিবির সদস্য লাভ করে। এনডিবির আর্টিকেল অব অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্যা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অনুসমর্থন করা প্রয়োজন।
বিলটি তোলার সময়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ব্রিকস গোষ্ঠী থেকে এই ব্যাংকটি করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং এই ব্যাংকে যারা সদস্য হবেন তারা এ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। আমরা যেটা করছি এই ব্যাংক আইনটা করার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে ইতোমধ্যে আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী তারা আমাদেরকে অর্থাৎ বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। এই আইন করার পরই আমরা সেই চুক্তিতে সদস্য হবো। সদস্য হওয়ার পরই সেই ঋণটা নিতে পারবো। সেই জন্যই এই আইনটা পাস করা অত্যন্ত জরুরি, এজন্য এই বিলটি আনা হয়েছে।
তিনি জানান, এই ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হবে সেটা শুধু ডলারে নয় অন্যান্য মুদ্রা যেমন- পাউন্ড, ইউরো, ডলার, রুবল, ইউয়ান ব্যবহার হতে পারে। আমার মনে হয় এটা অত্যন্ত অত্যাধুনিক একটা ব্যাংক হচ্ছে।
এই আইনটা অত্যন্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকটির নতুন যাত্রার সঙ্গে যেন আমরা থাকতে পারি এবং বেনিফিটগুলো পাই এজন্য আইনটি অত্যন্ত প্রয়োজন। বেনিফিট পাওয়ার রাস্তাটাও পরিষ্কার হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে প্রস্তাব দেওয়া হয়ে গেছে এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশকে লোন দেওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছে।