নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া»
সাতকানিয়ায় একটি বিয়েতে খাবার টেবিলে অতিরিক্ত মাংস না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর-কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত উপজেলার মৌলভীর দোকানের নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে ছদাহা পূর্ব কাজীর পাড়া (খামারপাড়া) কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে নোয়াখালীর সুবর্ণচর চরওয়াবদা ৪ ওয়ার্ডের বাসিন্দা (বর্তমানে চন্দনাইশের হাছনদন্ডী) জসিম উদ্দিন ফারুকের মেয়ের বিয়ের খাবার দাবারের আয়োজন চলছিল। এ সময় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
কনের চাচা আলাউদ্দিন বলেন, বিয়েত বর পক্ষের ৩ শ লোককে খাবারের কথা থাকলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তাদের চারশো জনেরও বেশি খাওয়ানো হয়। এসময় খাবার টেবিলে বর পক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয় বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি শুরু করে। ঘটনা থামাতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এতে স্থানীয়সহ উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, কনের বাবা জসিম উদ্দিন ফারুক (৪০), কনের মা রাশেদা বেগম (৩৫), মামা বাবুল (৩০), বর মোহাম্মদ শাহজাহান (২৮), মানিক (২৮), মো. রফিক (৩০) ও হুমায়ূন (২০)।
ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ হোসাইন চৌধুরী বর পক্ষের বরাত দিয়ে জানান, বিয়েতে মারামারির ঘটনা মাংস নিয়ে নয়। এটা নাকি বিয়ে বানচালের জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষের ষড়যন্ত্র। এতে বর পক্ষের দশ জনের মতো আহত হয়েছেন।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিয়েতে মাংস কম দেওয়ার ব্যাপারে অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
এ মুহূর্তের সংবাদ