নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া »
দিনেদুপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাইভেটকারে করে গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা আটক করে তিন গরু ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়েছে। এদের মধ্যে মো. আরমান নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। আরমান আনোয়ারা পৌরসভা এলাকার মনসুর আহমদের ছেলে। গতকাল শনিবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের কেরানিহাট-বান্দরবান সড়কের কর্নেল (অব.) অলি আহমদ কলেজের অদূরে এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তিন ডাকাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে লুট করা গরুও উদ্ধার করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী পার্বত্য জেলা বান্দরবান সদর ইউনিয়নের রেইচা ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ফারুকের একটি গরু বাড়ির পার্শ্ববর্তী সড়কে ঘাস খাচ্ছিল। ডাকাতদল প্রাইভেটকারে তুলে গরুটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পান। তারা এগিয়ে আসলে ডাকাতদল স্থানীয়দের অস্ত্র ঠেকায়।
এ ব্যাপারে গরুর মালিক মো. ফারুক বলেন, একটি প্রাইভেটকারের পেছনে করে (চট্ট-মেট্রো-গ-১১-০৯৫০) এলাকার লোকজনকে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার গরুটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল ডাকাতেরা। এ খবর মোবাইলে বিভিন্ন স্থানে জানানো হলে বাজালিয়া ইউনিয়ন এলাকায় পৌঁছালে পথে জনতা কার ও গরুসহ তিন ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এদের মধ্যে অস্ত্রসহ এক ডাকাত কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. আফরিন সুলতানা বলেন, মুমূর্ষু তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে জনতার গণপিটুনির হাত থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরমান নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। গরু ও প্রাইইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছিল।