সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মুমিনুল হক অধ্যায় শেষে আবার বাংলাদেশ টেস্ট দলের দায়িত্ব উঠেছে সাকিব আল হাসানের কাঁধে। বাঁহাতি অলরাউন্ডার নেতৃত্বে ফেরায় দারুণ রোমাঞ্চিত জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। এই অস্ট্রেলিয়ান দীর্ঘদিন পর সাকিবের নেতৃত্বগুণ দেখার অপেক্ষার। সঙ্গে তিনি মনে করেন, অন্য ক্রিকেটাররা ‘আইডল’ সাকিবকে যেভাবে অনুসরণ আর অনুকরণ করেন, তাতে দলের আস্থা বাড়াবেন সাকিব।
আজ শনিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সিডন্স বলছিলেন, ‘এখানে দুটি ইতিবাচক দিক আছে। সাকিব খুব ভালো অধিনায়ক। খেলা নিয়ে ভাবনার জায়গায়ও সাকিব খুবই ভালো। একই সঙ্গে সাকিব ধারাবাহিক পারফর্মারও। সে অধিনায়ক হিসেবে দারুণ কিছুই করবে। সবাই তাকে অনুসরণ করে।’
সিডন্স আরও যোগ করেন, ‘সাকিব আগেও অধিনায়কত্ব করেছে। তার ওপর দলের সবার আস্থা আছে। বলছি না মুমিনুলের সেটা ছিল না। তবে ক্রিকেটাররা সাকিব যা করে সেটাই অনুকরণ করে। তার ফেরাটা তাই দারুণ খবর। আর মুমিনুল এখন তার নিজের খেলাটা খেলতে পারবে।’
এর আগে দুইবার টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা সাকিব আবার অধিনায়ক হিসেবে ফেরায় যেমন খুশি সিডন্স, তেমনি স্বস্তি মুমিনুলের ওপর থেকে নেতৃত্বের ভার নেমে যাওয়ায়। নেতা হিসেবে মুমিনুলকে যে পছন্দ নয় সিডন্সের, তেমনটিও নয়। তবে টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শক মনে করছেন, অফ ফর্মে ভোগা মুমিনুল এবার নিজের ব্যাটিংয়ে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন।
সিডন্স বলেন, ‘আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে, মুমিনুল এখন তাঁর ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে পারবে। সে কিছুদিন ধরে রান পাচ্ছিল না। এখন সে ১০০ ভাগ মনোযোগ ব্যাটিংয়ে দিতে পারবে। তার পারফরম্যান্সটা আমাদের দরকার। আমরা জানি সে ভালো ক্রিকেটার। সেই ক্রিকেটাররা ফিরে আসুক, এটাই চাই। অধিনায়কত্বের চাপ যেহেতু থাকছে না, আশা করি সে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে।’
সাকিব অধিনায়কত্ব ফিরে পেলেও তার প্রতি বার্তা আছে সিডন্সের। সেক্ষেত্রে দায়িত্ব ধরে রাখতে গেলে যে বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে টেস্ট দলে নিয়মিত হতে হবে, সেটিও মনে করিয়ে রাখলেন সিডন্স।
সিডন্সের ব্যাখ্যা, ‘ও যদি অধিনায়কত্ব করতে চায়, তাহলে তাকে খেলতে হবে। না খেলে তো অধিনায়কত্ব করা যায় না। আমার মনে হয় সে আবারো অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টিতে রোমাঞ্চিত। আমার মনে হয় সাকিবের নেতৃত্বগুণের দিকটা এখন আমরা দেখতে পাব যেটা আমরা দীর্ঘদিন দেখিনি।’