সুপ্রভাত ডেস্ক »
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মুদ্রাপাচারের সহযোগী আব্দুল আজিজ, উৎপল পাল ও জাহাঙ্গীর আলমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার প্রক্রিয়ার আলোচিত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা আরামিট গ্রুপের এজিএম উৎপল পাল এবং দেশের সম্পদ দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
ওইদিনই সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানের ড্রাইভার মো. ইলিয়াস তালুকদারের বাড়ি থেকে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত ২৩ বস্তা রেকর্ডপত্র উদ্ধার করে দুদকের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স। আলামত পর্যালোচনায় দেখা যায়, এর আগে প্রাপ্ত ৪টি দেশের (ইউকে, ইউএসএ, দুবাই ও সিঙ্গাপুর) ৫৮২টি সম্পদ ছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ক্যাম্বোডিয়ায় সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া দেশে-বিদেশে ক্রয় করা বাড়ির মালিকানা, ভাড়ার আয়, মেইটেনেন্স ব্যয়সহ বিভিন্ন তথ্য ও ডকুমেন্টস এবং সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মাধ্যমে বিদেশে মুদ্রাপাচার তথা মানিলন্ডারিংয়ের তথ্য-প্রমাণ ওই ডকুমেন্টে রয়েছে।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সাবেক ভূমিমন্ত্রী বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে দুদক। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪২ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, রুকমীলার মালিকানাধীন কোম্পানি আরমিটের এজিএম ও ইম্পিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আব্দুল আজিজ, আরামিটের এজিএম ও ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আরামিটের কর্মচারী ও মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম, ক্রিসেন্ট ট্রেডার্সের মালিক সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মালিক মো. ফরিদ উদ্দিন।
প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানসহ অর্ধশত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।