নিজস্ব প্রতিবেদক »
একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার আর নেই। গতকাল বুধবার ভোররাত ৩টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
বুধবার (২ আগস্ট) বাদ জোহর নগরের ওয়াসার মোড়স্থ জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণে তার ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটায় জামালখান প্রেস ক্লাবের সামনে ২য় নামাজে জানাজা এবং বাদে আসর তার নিজ বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাবার কবরের পাশে আজাদ তালুকদারকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
আজাদ তালুকদার ১৯৭৮ সালের ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পদুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নাম খায়ের আহমেদ তালুকদার, মা জাহান আরা বেগম। ১৯৯৫ সাল থেকে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন আজাদ তালুকদার।
লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক আজাদ তালুকদারের অকাল মৃত্যুতে সাহিত্য সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিক আজাদ তালুকদার মরণব্যাধি ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে আসছিলেন। তিনি ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সাংবাদিকতায় দীর্ঘ ৩ দশক ধরে জড়িত আজাদ তালুকদার একুশে পত্রিকা সম্পাদনা ছাড়াও একাত্তর টিভি, বৈশাখী টিভি, একুশে টিভি, সাপ্তাহিক ২০০০, আন্তর্জাতিক ফিচার সংস্থা-সান ফিচার সার্ভিস, এফএম রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
আজাদ তালুকদার ছিলেন নির্ভীক নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক : তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ‘একুশে পত্রিকা’র সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক আজাদ তালুকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এক শোকবার্তায় হাছান মাহমুদ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তথ্যমন্ত্রী ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধরত আজাদ তালুকদারের চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতেন। কয়েকদিন আগেও হাসপাতালে তাকে দেখতে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, খুব কাছে থেকে দেখা আজাদ তালুকদার ছিলেন এক নির্ভীক নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক। তার অকাল মৃত্যু অত্যন্ত বেদনার। সাংবাদিকতায় তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।