সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
সুইমিং পুলে যুক্তরাষ্ট্রের দাপট নতুন নয়। সাঁতারের কোনও প্রতিযোগিতা কিংবা অলিম্পিক মানেই তাদের পদকের ছড়াছড়ি। টোকিও অলিম্পিকেও চলছে আমেরিকানদের জয়রথ। তবে মেয়েদের ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে কোনও আমেরিকান নয়, ঝড় তুললেন এক দক্ষিণ আফ্রিকান। এমন ঝড় যে সাঁতারের এই ক্যাটাগরির বিশ্ব রেকর্ডই গড়ে ফেললেন তাতিয়ানা শোয়েনমেকার।
২৪ বছর বয়সী এই সাঁতারুর হাত ধরে টোকিও অলিম্পিকে প্রথম সোনা এলো দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরে। আজ (শুক্রবার) মেয়েদের ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ২ মিনিট ১৮.৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন শোয়েনমেকার। ভেঙেছেন ৮ বছর আগের রেকর্ড। ২০১৩ সালে বার্সেলোনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ডেনমার্কের রিকি মোলার পেডারসন ২ মিনিট ১৯.১১ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ক্যাটাগরির বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন।
টোকিও অলিম্পিকের পুলে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস লিখলেন শোয়েনমেকার। তাও আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের লিলি কিং ২ মিনিট ১৯.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে জিতেছেন রুপা। আর তার স্বদেশি অ্যানি ল্যাজর ২ মিনিট ২০.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে জিতেছেন ব্রোঞ্জ। অথচ সাঁতারের প্রথম ভাগে এগিয়ে ছিলেন লিলি। ওই সময়ের হিসাবে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েন আমেরিকান সাঁতারু। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শোয়েনমেকার শুধু সোনাই নিশ্চিত করলেন না, গড়লেন ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের বিশ্ব রেকর্ড। টোকিও অলিম্পিকের সাঁতারে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত বিশ্ব রেকর্ডের নজির। এর আগে দুটো বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে, তবে দুটিই ছিল রিলে ইভেন্টে।এরই সঙ্গে ২৫ বছর পর অলিম্পিক সাঁতারে সোনা জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৬ সালে আটালান্টা অলিম্পিকে সবশেষ তাদের সোনা এনে দিয়েছিলেন পেনি হেইন্স। আর এবার রেকর্ড গড়ে সোনার হাসি হাসলেন শোয়েনমেকার।