সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
মাত্র ক’দিন আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে তামিম ইকবাল যখন অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন, ঠিক তখনই নিজ বাসায় বসে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, পরর্বর্তী অধিনায়ক কে হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বসে ঠিক করা হবে। মাত্র ৪৮ ঘন্টায় অবস্থার কোনোই পরিবর্তন ঘটেনি। গত শনিবার রাতেও নতুন ওয়ানডে ক্যাপ্টেন ইস্যুতে প্রায় একই কথা বললেন নাজমুল হাসান পাপন। আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তনয় শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আবাহনী ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে নতুন অধিনায়ক মনোনয়নের বিষযে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বিসিবি প্রধান বোঝানোর চেষ্টা করেন, যেহেতু সামনে এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডের সাথে হোম সিরিজ আর এরপর ওয়ার্ল্ডকাপের মত বড় আসর। তাই তাদের অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে। একটি বিচ্ছিন্ন সিরিজ হলে ছিল একরকম, কিন্তু এখন তাদের অনেক সাত-পাঁচ ভাবতে হচ্ছে। তবে বিসিবি প্রধান স্বীকার করেছেন, পছন্দ হিসেবে সাকিব অবশ্যই অনিবার্য্য পছন্দ, কিন্তু তারপরও সাকিবই যে অধিনায়ক হবেন, নেতৃত্ব যে তার কাঁধেই বর্তাবে- এমন নিশ্চয়তা মেলেনি বিসিবি সভাপতির কন্ঠে।
তার কথা, ‘সাকিবের নাম আসাতো স্বাভাবিকই (অভিয়াস) এবং মানে এটা তো ‘অভিয়াস চয়েজ’। কিন্তু আপনি কী বলতে পারেন দুই বছর খেলবে সাকিব? জানি না তো। সো, আমাদের জানতে হবে তো। ওর (সাকিবের) পরিকল্পনা, ওর সঙ্গে তো কথা বলতে হবে। আমরা আগে একটু জেনে নেই। এটা নিয়ে কথাবার্তা বলতে হবে, বোর্ডের সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে, প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে একটা জিনিস ঠিক, সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে সাকিবকে অধিনায়ক করে দেওয়া। এটাতে কোনো সমস্যা নেই।’
লিটন দাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পাপন বোঝানোর চেষ্টা করেন, কোন দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আর বিশ্বকাপ এক নয়। অনেক বড় মঞ্চ। বাড়তি চাপ। তারা (বিসিবি) ব্যাটার লিটন দাসের সেরাটা চান। অধিনায়কত্বের চাপে লিটনের ব্যাটিং যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে চিন্তাও আছে মাথায়।
তাই পাপনের মুখে এমন কথা, ‘এটাও খুব সহজ। আপনি যদি লিটনের কথা চিন্তা করেন, তাহলে এটাও খুব সহজ, কিন্তু একমাত্র ইস্যু হচ্ছে দ্বি-পাক্ষিক খেলা এক জিনিস, আর বিশ্বকাপ খেলা অন্য জিনিস। ওইটা আবার ওর ব্যাটিংয়ে না প্রভাব ফেলে দেয় বিশ্বকাপের মতো একটা চাপ, এতবড় দায়িত্ব। আমি বলছি যে আমরা সবাইকে সবদিক বিবেচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। তাড়াহুড়ো করে হুট করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি না। এজন্য আমরা কথা বলে সবার সঙ্গে যেটা ভালো মনে হয় ওরকম কিছুই করবো।’
বিসিবি প্রধান সঙ্গে যোগ করেন, ‘সমস্যা হচ্ছে বিশ্বকাপ, এটার চাপটাও কিন্তু কম না। এটা এত সহজ জিনিস না। আমি একজন নতুন কাউকে যে হঠাৎ করে বানিয়ে দেবো সে এই চাপটা নিতে পারবে কি না এটা এক নম্বর এবং আবার যদি আপনি লম্বা সময়ের কথা চিন্তা করেন তাহলে আমি এখন একজনকে বানাবো, দেখা গেলো এক বছর পর সে হয়তো থাকবেই না। তাহলে লম্বা সময় হবে কিভাবে। এ জিনিসগুলো নিয়েই আলাপ করে আমাদের একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’ খবর জাগোনিউজ’র