নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক »
বহু প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) নতুন মেয়াদের নির্বাচন গতকাল (শনিবার) আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল আটটা থেকে দুপুর সাড়ে বারটা পর্যন্ত ২৪০ জন কাউন্সিলর তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। এরমধ্যে ২টি ব্যালট বাতিল হয়। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল কোষাধ্যক্ষ পদে ৬৩ জন দুই প্রার্থীর কাউকেই ভোট দেননি। সহ-সভাপতি পদে (৪টি পদ) সর্বোচ্চ ২২১ ভোট পেয়েছেন সর্বনন্দিত মো. হাফিজুর রহমান। অন্য তিনজনের মধ্যে সৈয়দ আবুল বশর (প্রাপ্ত ভোট ১৫৪), এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল (প্রাপ্ত ভোট ১২৮) ও অ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ১২৩) নির্বাচিত হন। অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক (১টি) পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে মো. মশিউর রহমান চৌধুরীকে (প্রাপ্ত ভোট ৮৬) এক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন বর্তমান একই পদে থাকা সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম ((প্রাপ্ত ভোট ৮৭)। এ পদের অপর প্রার্থী এস এম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৩ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক পদে (২ জন) আমিনুল ইসলাম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৫ ভোটে পেয়ে আবারো নির্বাচিত হন। এ পদে অপর বিজয়ী হলেন অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন (প্রাপ্ত ভোট ১৭৩)। তৃতীয় প্রার্থী সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি পেয়েছেন ৮৬ ভোট। নির্বাহী সদস্য (সাধারণ ১৩ পদ) পদে গোলাম মহিউদ্দিন হাসান (প্রাপ্ত ভোট ১৯৬) প্রথম, মো. শাহজাহান (প্রাপ্ত ভোট ১৭৮) দ্বিতীয় ও আবদুল হান্নান আকবর (প্রাপ্ত ভোট ১৭০) তৃতীয় হন। অন্য নির্বাচিত ১০ জন হলেন দিদারুল আলম (প্রাপ্ত ভোট ১৬৮), প্রকৌশলী জসিমউদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ১৫৩), হাসান মুরাদ বিপ্লব (প্রাপ্ত ভোট ১৪৮), আকতারুজ্জামান (প্রাপ্ত ভোট ১৪৫), রাশেদুল আলম মিলন (প্রাপ্ত ভোট ১৩৪), নাসির মিঞা (প্রাপ্ত ভোট ১৩২), সৈয়দ মো. তানসির (প্রাপ্ত ভোট ১২৮), মো. মুজিবুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ১২৩), মো. এনামুল হক এনাম (প্রাপ্ত ভোট ১২২) ও মো. আলমগীর পারভেজ (প্রাপ্ত ভোট ১১৩)। এছাড়া (সংরক্ষিত উপজেলা কোটায় (২ পদ) জাহিদুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ১৭৯) ও প্রদীপ ভট্টাচার্য (প্রাপ্ত ভোট ১৪৯) জয়ী হন। অপর প্রার্থী জাফর ইকবাল পেয়েছেন ১২৬ ভোট। এরমধ্যে প্রথমবারের মত নির্বাচনে এসে সদস্য পদে আকতারুজ্জাসান, সৈয়দ মো. তানসির, আলমগীর পারেভজ, মুজিবুর রহমান ও রাশেদুল আলম চৌধুরী জয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য সাধারণ সম্পাদক পদে আ জ ম নাছিরউদ্দীন এবারসহ চতুর্থ দফায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উচ্চ আদালতের রায়ে মুক্তকন্ঠ গ্রিনের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করায় তাদের কাউন্সিলর সহ সভাপতি পদে দিদারুল আলম চৌধুরী ও সদস্য পদে মুসা বাবলু মনোনয়ন জমা দিয়েও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারেননি।
গত রাতে অধিকাংশ ভোটারদের কাছে সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন নিজ পছন্দের প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রেরণ করে তাদের ভোট দেয়ার জন্য প্রভাবিত করেন বলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। তবে সে তালিকার সদস্য পদে অনেকের ভরাডুবি হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সকাল থেকে স্টেডিয়ামে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। স্টেডিয়ামের বাইরে মূল ফটক বন্ধ করে শুধুমাত্র প্রার্থী, ভোটার ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাইরে বিভিন্ন প্রার্থীদের বন্ধু-বান্ধব ও ভক্তরা অবস্থান করেন। সিজেকেএস কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৩ সুষ্ঠ ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশন, আইন প্রনয়নকারী সংস্থা, রোভার স্কাউট, সিজেকেএস কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।