নিজস্ব প্রতিবেদক »
আয়কর বিভাগ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার ৪২জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা ও সনদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুজ্জামান, কর আপিলাত ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম বেঞ্চের সদস্য মকবুল হোসেন পাইক। কর আপীল অঞ্চল চট্টগ্রামের কমিশনার সফিনা জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার সামিয়া আখতার, কর অঞ্চল-৩ এর কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেন সিকদার, কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার ছাবিনা ইয়াসমিন ও চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি নিতাই চন্দ্র দাশ। এছাড়া সর্বোচ্চ করদাতা সম্মাননাপ্রাপ্ত মৃদুল বড়–য়া চৌধুরী ও পুস্প রানী দাশও তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল নবদিগন্তের সূচনা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন। কর-ভ্যাট দিতে হবে, না দিলে দেশ এগিয়ে যাবে না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিছুদিন পর চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হবে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের যে দায়িত্ব নিয়েছেন তার বহিঃপ্রকাশ এ টানেল বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে মাহবুবুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি দেশ স্বাধীন না করতেন তাহলে আপনারা আমরা কোথায় থাকতাম। আজ আমরা কেউ ব্যাংকের মালিক, কেউ বড় কর্মকর্তা। দেশ দিয়ে গেছেন বলে আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি। ২০৩৭ সালে বাংলাদেশ ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে। মানুষ এখন ভ্যাট ট্যাক্স দিতে আগের চেয়ে বেশি আগ্রহী। অটোমেশন করতে হবে। তা হলে বেশি ভ্যাট ট্যাক্স আদায় হবে। নেট বা আওতা বাড়াতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষ কর দিতে চায়। তাদের হয়রানিমুক্ত পরিবেশে কর দিতে হবে।