ফলোআপ: পশ্চিম বাকলিয়া #
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরজুড়ে চলছে খাল পরিষ্কারের কাজ। কিন্তু খালের আবর্জনা তুলে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা হচ্ছে রাস্তা ও খালপাড় সংলগ্ন খালি জায়গায়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খালপাড়ের বাসিন্দা ও পথচারীদের। দিন-সপ্তাহ ও মাস পেরুলেও এসব পরিষ্কারের খবর নেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের।
২০ জুন দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর শেষ পৃষ্ঠায় ‘দু’সপ্তাহ ধরে খালের আবর্জনা রাস্তায়’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড এলাকার কেবি আমান আলী রোডের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পে সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি দ্রুতসময়ের মধ্যে আবর্জনাগুলো সরিয়ে নেওয়া আশ্বাস দিয়ে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু আশ্বাসের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও আবর্জনাগুলো এখনো সরেনি।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকাল ১১টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় আবর্জনার স্তুপ এখনো যথাস্থানে রয়ে গেছে। ফলে এলাকাবাসী, পথচারী ও গাড়িচালকদের চলাচলে বেড়েছে দুর্ভোগ। আবর্জনা স্তুপ রাস্তা দখল করে থাকায় প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। থেমে থেমে চলছে গাড়ি। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে এসব আবর্জনা।
এ বিষয়ে জানতে মেগা প্রকেল্প সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘আমি ঠিকাদারকে আবর্জনা সরিয়ে নিতে বলেছি। কিন্তু তিনি কেন এতদিন পরে এগুলো সরিয়ে নেননি সেটি আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’ তবে আবর্জনাগুলো আবারও দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম আরিফুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘আবর্জনাগুলো সরিয়ে নিতে আমি আগেও অনেকবার বলেছি সংশ্লিষ্টদের। আজও (বৃহস্পতিবার) একজনের সাথে যোগাযোগ করে তাকে ডেকে পাঠিয়েছে কার্যালয়ে। আবর্জনাগুলো রাস্তায় তুলে রাখায় পথচারী ও গাড়ি চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। আমি নিজেও মোটর সাইকেল চালিয়ে যেতে কষ্ট হয়েছে।’