সুপ্রভাত ডেস্ক »
অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকের সমর্থিত বা প্রস্তাবিত সরকার ছাড়া আর কোনো ধরনের সরকারকে সমর্থন করবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা বলেছে, সেনাসমর্থিত সরকার বা জরুরি অবস্থা দিয়ে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার—এ ধরনের কোনো সরকারকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা গ্রহণ করবে না।
গতকাল (৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় অন্য সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগপর্যন্ত ছাত্র-জনতাকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে অবস্থানের আহ্বান জানায় তারা।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করবেন জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই সরকার হবে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকের প্রস্তাবিত। সেই জাতীয় সরকারে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকদের অংশ থাকবে। নাগরিক সমাজসহ পেশাজীবী ও নানা ধরনের পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে তাঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা এবং সেই সরকারে কারা কারা থাকবে, সেই নামগুলো ঘোষণা করব।’
নাহিদ বলেন, ‘অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকের সমর্থিত বা প্রস্তাবিত সরকার ছাড়া আর কোনো ধরনের সরকারকে আমরা সমর্থন করব না। সেটা হতে পারে সেনাসমর্থিত সরকার বা জরুরি অবস্থা দিয়ে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার হতে পারে—এ ধরনের কোনো সরকারকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা গ্রহণ করবে না। মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি আমাদের আহ্বান, তাঁরা যেন আমাদের চূড়ান্ত (জাতীয়) সরকারের রূপরেখা ঘোষণার আগপর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যে আন্দোলনের সুযোগে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো নানা ধরনের অঘটন ও নাশকতা-সহিংসতা করে আন্দোলনের ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করতে পারে।’
আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আমাদের আন্দোলনের সমন্বয়ক, আন্দোলনকারী ও নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে। তাঁরাসহ আমরা সব রাজবন্দীকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি।