সুভাষ দে »
‘সম্প্রীতি বুনন’ মানে মানুষের মানসজগতে সৌহার্দ্য, প্রীতির মনোভাব জাগ্রত করা আর সম্প্রীতির এই বীজ বপন করার শ্রেষ্ঠ আধার শিশুমানস। অর্থাৎ শৈশবে যদি মানবিক গুণাবলীর চর্চা এবং মানসজগতে মানুষের হিতে ব্রতী হওয়ার ভাবনা গেঁথে দেওয়া যায় তবে ‘সম্পন্ন মানব’ হয়ে ওঠার কাজটি সহজ নয়। আর শিশুমানসে সম্প্রীতির আবাদ করতে পারেন শিক্ষকগণ-এই মর্মবাণী নিয়ে কালটিভেশন অব সেক্যুলার মাইন্ড অর্থাৎ ‘সম্প্রীতি বুনন’ কর্মশালাটির আয়োজন করা হয় গত ৭ ও ৮ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারি হলে। কর্মশালায় বিভিন্ন স্কুলের ধর্ম শিক্ষকদের উপরোক্ত বিষয়ে মোটিভেশন দেওয়া হয়।
‘সম্প্রীতি বুনন’ শীর্ষক প্রকল্পের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম আহমদ কর্মশালার ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। তিনি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও আন্তধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য দেন কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর মনজুরুল আলম। কবি-সাংবাদিক ওমর কায়সার তাঁর বক্তব্য উপস্থাপনকালে বলেন, ‘সমাজ বিশ্লেষণে-প্রতীয়মান হচ্ছে মানুষের মানবিকতা লোপ পাচ্ছে। সমাজ বিবর্তনের ধারায় মানুষের মান ক্রমশ কমছে। মানুষকে নিজের ভেতর ডুব দিয়ে সম্প্রীতির বোধ জাগাতে হবে। সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে হৃদয় দিয়ে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য কারণ কোমল মনের আদর্শ হয়ে দাঁড়ান শিক্ষকবৃন্দ’।
প্রফেসর মনজুরুল আলম ব্যক্তির ‘বক্তা’ ভূমিকার তাৎপর্য তুলে ধরে ‘ঘৃণা বক্তব্য’ ও মারাত্মক বক্তব্য উপলব্ধিকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি এ বিষয়ে শিক্ষকদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেন।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকরা যোগ দেন, তারা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং তা থেকে উত্তরণ, সংযম, সহিষ্ণুতা, সহপাঠীদের মধ্যে সহমর্মিতার অভাব-এসব বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। আমাদের বর্তমান শিক্ষাপদ্ধতি ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধস নেমেছে এবং তার প্রভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচকভাবে পড়ছে। আমাদের চারপাশের ঘটনাবলীর দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
শৈশব এবং কৈশোর মানবজীবনের নির্দোষ সময়কাল, এই সময়টি ‘সম্পন্ন মানব’ হয়ে ওঠার ভিত তৈরি করে। প্রকৃতি ও জীবনের পাঠশালা থেকে যে পাঠ একজন শিশু কিংবা কিশোর গ্রহণ করে, তা তার সারাজীবনকে পরিচালিত করে। আবার বয়ঃসন্ধিকাল বলে সে তার চারপাশের ঘটনাবলী, পারিবারিক, সামাজিক ঘাত-অভিঘাত থেকেও নানা স্বভাব, আচরণগত অভ্যাস ও অনুকরণ, অনুসরণ করে। এ অভ্যাসগত আচরণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এলে কারো বেলায় শোভন হয়, আবার কেউ অসদাচরণ বা অশোভন আচরণের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। সহপাঠীদের সাথে সঙ্গ এ সময় নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নেয়। এখানে শিক্ষকের ভূমিকা ও পেশাগত দায়িত্বের প্রশ্নটি এসে পড়ে।
একজন শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীর ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন বা তাকে কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন তা নির্ভর করে তাঁর শিক্ষাদীক্ষা, পঠন-পাঠন, রুচি, সংস্কৃতিমনস্কতা ও দক্ষতা-অভিজ্ঞতার ওপর। শিক্ষকের এই প্রভাব বিস্তারের ভূমিকাও আসে সমাজের পরিপার্শ্ব থেকে, সমাজের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশগত চেতনা থেকে এবং এখানেই ঘটে যত বিপত্তি। সমাজের নানা অশুভ প্রবণতা, ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতা, মানুষের মর্যাদার অবনমন সমাজের অন্তর্নিহিত সামাজিক শক্তি, বৈশিষ্ট্য গুলিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এর ফলে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। সমাজ মানবহিতকারী চিন্তা থেকে সরে আসছে। ব্যক্তির- গোষ্ঠীর লাভালাভ, মর্যাদা আর স্বার্থহাসিলে সমাজকে, প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করার প্রবণতা দৃষ্টিকটু হয়ে উঠছে। সমাজের মূল্যবোধের এই যে অবক্ষয়, অধোগতি তা যেমন শিক্ষক মানসকে অসহায়, অক্ষম করে তুলছে তেমনি তার মানবিক সত্তা, পেশাগত দক্ষতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আমাদের সমাজে যে মূল্যবোধের ধস নেমেছে, শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধ সমাজকে মানবতা, সহমর্মিতা ও সম্প্রীতিবোধে উদ্বুদ্ধ করতে পারছে না তার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত এখন লক্ষণীয়। তবে সমাজ ও রাষ্ট্রের এই অবস্থার উত্তরণে শিক্ষকগণই পারেন ভূমিকা রাখতে। তারাই সময়ের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন। তাদের হাতেই শিশু শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ভার। শিক্ষার্থীদের শৈশবে যদি সম্প্রীতি, সৌভ্রাতৃত্ব আর সহপাঠীদের প্রতি মমতার হাত বাড়ানোর মতো মানবিক কাজ করতে প্রণোদনা দেওয়া যায় তবে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। কেবল শিক্ষক নয়, পাঠ্যসূচিতেও পরিবর্তন আনা জরুরি। প্রাথমিক কিংবা নি¤œ মাধ্যমিকের বইতে সাম্প্রদায়িকতা, প্রগতিবিমুখতার বিষয়গুলি যাতে না আসে সে ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। এ নিয়ে কোনোরূপ বিতর্ক বা ভুল বোঝাবুঝি অথবা মানবমনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন সব বিষয়বস্তু পাঠ্যসূচিতে স্থান পাবে না তা নিশ্চিত করতে হবে।
একসময় আমাদের পূর্বপুরুষরা সাধারণ লেখাপড়া করে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। তাতেই জগৎ সংসারের কাজ সমাধা হয়ে গেছে; পরিবার, সমাজে কোনোরূপ ভাঙন কিংবা প্রতিকূলতার ঢেউ ওঠেনি, শতাব্দীব্যাপী সমাজে সম্প্রীতি, সৌভ্রাতৃত্ব অটুট থেকেছে, ধর্ম-গোত্র নানারূপ মিল-অমিল সত্ত্বেও। আজ আমাদের সমাজের সে অবস্থা নেই, রাষ্ট্র ও সময় সময় সমাজের বিভাজন উস্কে দেয়, এ রকম নজির আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে অনেক। সমাজের বি-মানবিকীকরণ ঘটছে প্রতিনিয়ত, তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থায় ধর্ম, গোত্র, বর্ণগত বিভেদ, অসহিষ্ণুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিবারেও এর ছাপ পড়ছে। সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়েছে নানাভাবে। এখানে শিশুদের মাঝে সম্প্রীতির বুনন খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
শিশুর শিক্ষা গ্রহণের একটি কেন্দ্র পরিবার। পরিবারে বড়োরা যদি অন্যায় আচরণ করে, তর্কবিতর্ক, হানাহানিতে লিপ্ত হয় পরস্পরের সাথে তবে তা ছোটোদের প্রভাবিত করবেই। পরিবারের সদস্যরা যদি নিজের স্বার্থ নিয়ে বাড়াবাড়ি করে কিংবা ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্ব, উগ্রতা ছড়াতে সমাজকে প্রভাবিত করে তবে সে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। ছোটরাও তার শিকার হবে। শিক্ষাঙ্গনের ব্যাপারেও তাই; সমাজ রাষ্ট্রের বিভাজন-বিভক্তির রাজনীতি, শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রভাবিত করে চলে। শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের ‘মানব’ হওয়ার শিক্ষা তাহলে কিভাবে হবে। কিশোরদের মধ্যে নানা অপরাধ প্রবণতার খবর পত্রিকায় নিয়মিত আসছে। এমন কি যার সাথে স্কুলে সময় কাটছে, সেই সহপাঠীকে সামান্য তর্কাতর্কি, নানা অজুহাতে খুন করছে। অনেক শিক্ষকের ভূমিকাও আজ প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষকরাও বিভাজনের রাজনীতি, প্রগতিবিমুখতা, ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্ববাদের বেড়াজালে, নানা লোভের বেড়াজালে আটকা পড়ে যাচ্ছেন। তারপরও আমাদের ভরসার জায়গা শিক্ষা এবং শিক্ষকগণ।
পারিবারিক শিষ্টাচার শিশুর আচরণকে প্রভাবিত করে। তাদের অধিকাংশ সময় কাটে পরিবারের সান্নিধ্যে। এ ক্ষেত্রে বড়োদের সততা, অধ্যবসায়, মানবিকতা, মেধা সন্তানদের ওপর খুবই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর পরিবারে মা-বাবা যদি নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, অনৈতিকতার আশ্রয়ে জীবন পরিচালিত করেন, সন্তানদের অনবরত চাপের মধ্যে, বিভ্রান্তির মধ্যে রাখেন তবে শৈশবেই নেতিবাচক স্বভাব ক্রিয়া করতে আরম্ভ করে।
অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি ‘ভাষা প্রয়োগ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি কেবল পরিবারে নয়, অন্যান্য বড়োজন, স্কুলের শিক্ষকরাও শিশু শিক্ষার্থীদের প্রতি এমন সব বাক্যবাণ থেকে বিরত থাকবেন। ‘হেট স্পিচ’ বা ঘৃণাসূচক সম্বোধন বা ‘বাক্যপ্রয়োগ’ তার মধ্যে বিরক্তি বা ঘৃণার সঞ্চার করতে পারে। সহপাঠীদের বেলায় সম্বোধন বা বাক্য ব্যবহারে শিষ্টাচার অবশ্যই পালনীয়। আমরা দেখি ‘হেট স্পিচ’ বা অশোভন তর্কবিতর্কের জেরে অনেক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যায়। সমাজে এসবের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মারাত্মক, বিশেষ করে মেয়েশিশুদের সাথে পরিবার, শিক্ষক, সহপাঠী সকলেরই শিষ্ট ব্যবহার প্রদর্শন করা বাঞ্ছনীয়।
পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আমাদের দেশের চিরাচরিত ঐতিহ্য সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ববোধের যে স্মারক আমাদের দেশকে বিশিষ্ট করেছে, সে সবের সংরক্ষণ এবং প্রতিপালনে যতœবান হতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি, সামাজিক সম্প্রীতি, সহপাঠীদের প্রতি সম্প্রীতি সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতির সূচক। একটি শান্তিপূর্ণ, সুস্থির ও মানবিক সমাজ গড়তে এই সম্প্রীতির মূল্য অনেক। আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতির একটি ধর্মনিরপেক্ষতা। এটির মূল অর্থ হচ্ছে নাগরিকরা যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। ধর্মীয় আবেগ অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে, বিদ্বেষ ছড়াতে পারে এমন সব আচরণ থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে। এই বোধ শৈশব থেকেই লালন করতে যতœবান হতে হবে। এটি করে দিতে পারেন অভিভাবক, শিক্ষক, সমাজের বিশিষ্টজনরা। সমগ্র সমাজে যদি সম্প্রীতি ও মানবতার বাতাবরণ বিরাজ করে তাহলে শিশুÑকিশোররা এই আবহাওয়ায় জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পাবে।
আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মাঝে মাঝেই বিপন্ন হয় স্বার্থবাজদের চক্রান্তে এর বিরুদ্ধে সমগ্র সমাজের জাগরণ চাই। কেবল আমাদের দেশ নয়, উপমহাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের উদ্বোধন ঘটুক। এ জন্যে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, আন্তঃধর্মীয় সংস্কৃতি সংলাপের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা জরুরি। কেবল আমাদের দেশ নয়, উপমহাদেশ এবং বৈশ্বিকভাবে এ সংলাপের আয়োজন খুবই জরুরি।
ধর্মীয় বিদ্বেষ, ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্ববাদ, উগ্র ধর্মীয় মতবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সংগ্রাম পরিচালনা রাজনীতিবিদ, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দায়িত্ব হওয়া উচিত। আমেরিকার ধর্মীয় নেতা নরম্যান ভিনসেন্ট পিয়ালে (১৮৯৮-১৯৩৩) ‘সুখের খোজে’র’ পন্থা হিসেবে বলেছেন, ‘ তোমার হৃদয় হিংসামুক্ত করো, দুশ্চিন্তা থেকে মনকে দূরে রাখো, সহজভাবে জীবনযাপন করো, অল্পকিছুর আশা করো, কিন্তু অপরকে বেশি দাও। আলো ছড়িয়ে দাও, নিজ স্বার্থ ভুলে যাও, অন্যের কথা ভাবো। এক সপ্তাহ এটি করতে চেষ্টা করো, তখন তুমি নিজেই আশ্চর্য হয়ে যাবে’।
সহজ সরল জীবনযাপন, হিংসা দ্বেষমুক্ত ভুবন তৈরি করতে শৈশব থেকেই এই সাধনা আয়ত্ত করার চেষ্টা হোক। বড়োদের দায়িত্ব এটি, সেখানে পরিবারের সদস্যরা আছেন, শিক্ষকগণ আছেন, আছেন সামাজিক ব্যক্তিত্ব। রাষ্ট্রের দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় ও মূলনীতি সমূহের বাস্তবায়ন, সকল সামাজিক নৈতিক উন্নয়ন এ লক্ষ্যেই পরিচালিত হওয়া উচিত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে।
আমরা নিবন্ধের শিরোনাম ‘সম্প্রীতি বুনন’, এর এ জন্যে শৈশব হচ্ছে প্রকৃষ্ট সময়। এই নির্দোষ কালটিই আমাদের ভবিষ্যৎ সময়ের ভিত। আমাদের শিক্ষার লক্ষ্য সেভাবেই নির্ধারণ করতে হবে একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। মানুষের মন থেকে সকল কলুষ, বিদ্বেষ নাশে প্রকৃত শিক্ষাই একমাত্র রক্ষাকবচ, এর এটি চর্চার শুরু হোক শৈশব থেকেই।
লেখক : সাংবাদিক