সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করার বিষয়ে আগ্রহী, বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখাররের নেতৃত্বে দেশটির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার।
বৈঠকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা পাঁচটি পর্যবেক্ষণের কথা আমাদের জানিয়েছে। ওই সব পর্যবেক্ষণ নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং নিষেধাজ্ঞা কীভাবে প্রত্যাহার করা যায়, সেটি নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছে।’
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে পাঁচ পর্যবেক্ষণের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের বিষয়টি জানাবে এবং জানানোর পর আমরা সেটি র্যাবের কাছে পৌঁছে দেব। তাদের কাছ থেকে আমরা বিস্তারিত পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
এ বৈঠক নিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে। সেখানে তারা লিখেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সমর্থন করে। আমাদের দুই দেশ কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’
দুই দিনের সফরে প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া বিএনপির নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতাসহ অন্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।