নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
দুদকের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের বহুমুখী ঘটনায় চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সাহেদা বেগম নূরীর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার ও বাঁশখালী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে আইনগত চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে, মুজিবুল হক চৌধুরীর পৃথক ২৫টি রেজিস্ট্রিমূলে কেনা জমি ও সম্পদ এবং তার স্ত্রী সাহেদা বেগম নুরীর ৭টি পৃথক রেজিস্ট্রিমূলে কেনা সম্পদ জব্দের আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ ড. জেবুন্নেছা এ জব্দ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পর ২৮ জুলাই পত্রটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করলে ১ আগস্ট থেকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হতে থাকে।
এসব সম্পদের মধ্যে জমিজমার পাশাপাশি সিকদার ফিশারিজ এন্ড পোল্ট্রির নামে থাকা সম্পত্তিও রয়েছে। আদালত আসামি মুজিবুল হক চৌধুরীর অসাধু উপায়ে অর্জিত ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৫৯১ টাকা এবং তার স্ত্রী সাহেদা বেগম নূরীর অর্জিত ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৬২২ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ভাবে করা ২টি মামলার বাদি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক এজাহারে উল্লেখ করেছেন, মুজিবুল হক চৌধুরী জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখলে রেখে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তিনি ১৯৯২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে প্রবাসে থাকলেও দেশে টাকা পাঠানোর কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অপরদিকে মুজিবুলের স্ত্রী সাহেদা বেগম নূরী জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে উপার্জন করে ভোগদখলে রেখে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। স্ত্রী’র মামলায় স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদ উপার্জনে সহযোগিতা করায় মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধেও দ-বিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।