সমুদ্র উপকূলের কক্সবাজার বিমানবন্দর বিশ্বমানের হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট »

রূপ বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের। হবে দৃষ্টিনন্দন আর আধুনিক। কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন রানওয়ে তৈরি হচ্ছে সমুদ্র-ছুঁয়ে। পৃথিবীর সমুদ্র উপকূলের দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে এই বিমানবন্দর।

বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নয় হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে। এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে । সমুদ্রে বালি ভরাটের কাজও চলছে।

সমুদ্রে মাটি ভরাট করে হচ্ছে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠা-নামা করতে পারবে। এ ছাড়া প্রিসিশন এপ্রোচ ক্যাট-১ লাইটিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। ফলে উড়োজাহাজ পূর্ণ লোডে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। যার কারণে বিমানবন্দরের ফ্লাইট সংখ্যার পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

নতুন টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ।

বিমানবন্দরের ভেতরে টার্মিনাল ভবনটির কাজও দ্রুতগতিতে শেষ হচ্ছে। টার্মিনাল ভবনের অবকাঠামো ও ঢালাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। শিগগিরই শুরু হবে ফিনিশিংয়ের কাজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের বিমানবন্দরে পরিণত করতে নিজের পরিকল্পনার কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন । দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতকে সহজ ও আরামদায়ক করতে বিমানবন্দরটি আধুনিকায়নের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

৫ হাজার ১ শ’ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

২৯ আগস্ট বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্প শেষ হলে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে। তখন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি ফ্লাইটে আসতে পারবেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে।