ওবায়দুল করিম :
মানুষের জীবদ্দশায় তার বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হয় না। মৃত্যুর পর? একথাও নির্দ্বিধায় বলা যাবে? মরহুম আবদুল হক চৌধুরী চট্টগ্রামের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, সমাজ-গবেষক তাঁর জীবদ্দশায় শেষকালে তাঁর মন ও মেধার পরিচিতি লাভ করে, একালের বিদগ্ধজনেরা, সেকি সম্পূর্ণ, বস্তুনিষ্ঠ? ১৯৯৪ সালের ২৬ অক্টোবর তাঁর মৃত্যুর পর পালাক্রমে ফি বছর সংবাদের ক্রোড়পত্রে আর আলোচনায় গবেষক চৌধুরীর কর্মবহুল জীবন ও সৃষ্টির উপর থাকে গভীর আলোচনা। তাঁর আসন পোক্ত হয়েছে ঐতিহাসিক হিসেবে। সমাজ-গবেষক হিসেবে তো অবশ্যই। মরহুম চৌধুরীর প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি সম্ভবত চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগ থেকেই শুরু। ১৯৭৫-৭৬ সালে সমাজতত্ত্ব বিভাগের পাঠ্যসূচিতে জনাব চৌধুরীর ‘চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি’ বইটির রেফারেন্স হিসেবে স্বীকৃতিদানের মধ্য দিয়েই তাঁর বিশাল প্রতিভার দ্বারোদ্ঘাটন হয়। জনাব আবদুল হক চৌধুরী ইতোমধ্যেই ইতিহাসবিদ ও গবেষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
দেশের বিদগ্ধ প-িতেরা এ বিষয়ে লিখেছেনও প্রচুর। কিন্তু যে সমাজতত্ত্বের স্বীকৃতি থেকে তাঁর কর্মবহুল জীবনের আলোচনা, সেখানে গবেষক ও ইতিহাসবিদ হিসেবে আলোচিত হলেও সমাজতত্ত্বে তাঁর অবদান ও এ বিষয়ে তাঁর পা-িত্য একেবারেই অনুদ্ঘাটিত থেকেছে। জনাব চৌধুরীর এক ছেলে জনাব মঞ্জুর-উল-আমিন চৌধুরী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও (এক্ষণ এ ছাড়াও বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন) কেন যে তাঁর কাছ থেকে জনাব চৌধুরীর সমাজতত্ত্বে অবদান অনুদ্ঘাটিত থাকলো এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা ছাড়া অতিরিক্ত বলবার কিছু নেই। এ ছোট্ট নিবন্ধে জনাব আবদুল হক চৌধুরীর ‘সমাজতত্ত্ব ও নৃ-তত্ত্বে’ অবদান খুবই সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হলো।
বিষয় হিসেবে সমাজতত্ত্বের উদ্ভাবন ও বিকাশে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের খুব কম সংখ্যকই মূলত সমাজতত্ত্বের ছাত্র ছিলেন। তো সমাজতত্ত্বের ছাত্র না হয়ে সমাজতত্ত্বের বিকাশে অবদান রাখেন কী করে? প্রশ্নটার উত্তর একেবারেই সহজ। বিজ্ঞানের সমস্ত আবিষ্কারগুলোই কি ঐ বিষয়ের বিদ্বজ্জনেরা করেছেন? নিশ্চয়ই না। তো তেমনটি সমাজতত্ত্বের পেছনেও বহাল ছিলো।
সমাজতত্ত্বকে আজকাল আর বিষয় হিসেবে দেখা হয়না। এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি। যে কোন ঘটনার পেছনের কারণ হিসেবে সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কারণ বহাল থাকবেই। সে-সব কারণের ঐ উপাদানগুলোর বন্তুনিষ্ঠ আলোচনাই হলো সমাজতত্ত্ব। এ জন্যে বিজ্ঞানের সমাজতত্ত্ব আছে। সামাজিক-অর্থনৈতিক বিবর্তনের একটা সময়েই কেবলমাত্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা নিরুপিত হয়েছে। এজন্যে বিজ্ঞানের আর প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার জন্য নির্দিষ্ট সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থার অস্তিত্ব থাকা দরকার। ইতিহাস রাজা-বাদশাহ্র পালাবদলের কাহিনীমাত্র নয়। বিপুল জনগোষ্ঠীর উৎপাদন, বণ্টন, বিশ^াস, আচার অনুষ্ঠান ইত্যাদির পরিবর্তনের আলোচনা ও ইতিহাস। সমাজতত্ত্ব ও নৃ-বিজ্ঞান ঐ সকল উপাদনের অস্তিত্বমান থাকা বা পরিবর্তনের কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় করে। সুতরাং এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান যাঁরই থাকছে সমাজতত্ত্বে তাঁকে স্বীকৃতি দেয়ার সম্ভাবনাও আছে। সমাজতত্ত্ব ও নৃ-বিজ্ঞানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিষয়টা বিশাল। কোন সমাজ আর অর্থনীতির একটা ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক আওতা থাকে। একটা নির্দিষ্ট সমাজের একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকে। ভৌগোলিকভাবে যতই দূরবর্তী হতে থাকে সেই সাংস্কৃতিক পরিম-লের প্রান্তবর্তী অঞ্চলে পাশর্^বর্তী সংস্কৃতি ও সমাজের প্রভাবটা ক্রমে ক্রমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যদি আরব হয় তবে, এর দূরবর্তী অঞ্চলের (যেমন ইন্দোনেশিয়া বা ফিলিপাইন্স) সংস্কৃতি কেন্দ্র থেকে ভিন্নমাত্রার হয়ে থাকে। পাশর্^বর্তী অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রভাবেই এমন হয়ে থাকে। কোন জাতিগোষ্ঠীরই অবিমিশ্র সংস্কৃতি নেই।
এ ধারণা অষ্টাদশ শতাব্দীর খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকেরা নৃ-বিজ্ঞানের উদ্ভাবনের একটা বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। সমাজতাত্ত্বিক ভক্সহল ডেবরেইন ‘কালচার এন্ড হিস্টোরি’ গ্রন্থে ছোট ছোট প্রান্তবর্তী সমাজের সাংস্কৃতিক বিবর্তনকে সামাজিক পরিবর্তনেরও ঐক্যের বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক সামাজিক পরিম-লের প্রান্তবর্তী অঞ্চল হলো চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী। এই ব্যাপক সাংস্কৃতিক প্রান্তগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসটা একটু ভিন্নমাত্রার। চট্টগ্রামের প্রান্ত, মঙ্গোল নরগোষ্ঠী ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ারও সাংস্কৃতিক প্রান্ত।
চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান-মুসলমান শাসকদের দিল্লি দখলের আগে থেকেও মুসলিম সাংস্কৃতিক পরিম-লের অংশ হয়েছিলো। ভারতবর্ষের সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তনের অগ্রগামী এসব প্রান্তের অঞ্চলে এশীয় উৎপাদন ব্যবস্থায় পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থারও সূচনা হয়েছিলো সবচেয়ে আগে এবং এই কারণে প্রান্ত হিসেবে সমাজতত্ত্বে, চট্টগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা একটি সমাজতাত্ত্বিক আকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এজন্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমাজতাত্ত্বিক হতে হবে এমন নয়। এ বিষয়ে জনাব আবদুল হক চৌধুরীর “চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি” একটি মূল্যবান পাথেয়। সমাজতাত্ত্বিকের বস্তুনিষ্ঠতা এ বইতে এতই প্রবলভাবে উপস্থিত যে, লেখক-গবেষকের পরিচয় না জানলে এটা কোন সমাজতাত্ত্বিকেরই লেখা বলে ভ্রম হতে পারে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সমাজতাত্ত্বিক প্রফেসর এ. কে. নাজমুল করিম এ বইয়ের ভূমিকায় বলেছিলেন, প্রথমেই বলা প্রয়োজন যে, লেখক তাঁর আলোচনা কোন বিশেষজ্ঞ দৃষ্টিকোণ হতে করেননি। কিংবা ঐ ধরণের কোন শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ তিনি গ্রহণ করে কাজে অগ্রসর হননি। তাঁর অনুসন্ধিৎসু মনই এসব তথ্যাদি সংগ্রহের পেছনে তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছে। সামাজিক তথ্য সংগ্রহের জন্য যে বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতি বা প্রশিক্ষনের প্রয়োজন, তা ছাড়াই তিনি যে অধিকারী একথা তার দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছ দৃষ্টি ও নিরপেক্ষতা দেখিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতাই প্রমাণ করে। সামাজিক, ব্যক্তিগত বা ধর্মীয় কোন সংস্কার দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে, যতদূর সম্ভব নিজ বিচারবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হয়ে তিনি তথ্যসমূহ সংগ্রহ ও মূল্যায়নের প্রয়াস পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ না থাকাতে যে বিশ্লেষণ একটি পরিপূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনা হতে পারত, তা হয়নি। তবে তথ্যের এ ধরণের সমাবেশ ভবিষ্যৎ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের প্রভূত সহায়ক হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। গ্রন্থের প্রথমে তিনি চট্টগ্রামের ইতিহাস সংক্ষেপে কিছু বর্ণনা করেছেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাসও স্থানে স্থানে আলোচিত হয়েছে। সমাজতত্ত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাকে সর্বাধিক আকর্ষণ করেছে তার আলোচ্য চট্টগ্রামের ‘সামাজিক কৌলীন্য প্রথা’। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক কারণে যুগের পর যুগ ধরে নানা মানব¯্রােত এসে চট্টগ্রামে বসবাস করার ফলে চট্টগ্রামের সামাজিক কাঠামো ও স্তর বিভাগে যে জটিলতার সৃজন হয়েছে তার এক মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ জনাব চৌধুরীর আলোচনায় আমরা দেখতে পাই। এ ধরণের আলোচনায় পক্ষপাতিত্ব বা নিজ কৌলীন্যবোধ অনেক সময়েই বিচারবুদ্ধিকে আড়ষ্ট করে ফেলে। কিন্তু আনন্দের বিষয় যে, তাঁর লেখাতেই আমি সর্বপ্রথম একটি গ্রহণীয় চিত্র পেয়েছি।
তবে আমি বলব যে, তাঁর সংগৃহীত তথ্যসমূহের ভিত্তিতে সরেজমিন প্রত্যক্ষ ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে চট্টগ্রামের প্রাচীন সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক পরিপূর্ণ গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন। চট্টগ্রামবাসীদের ভাষার বৈশিষ্ট্য, আচার-অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য এবং জাতিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বহিরাগতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে পারে না। তবুও এ সমাজ মূলত বাঙালি সমাজেরই অংশ বিশেষ, তাই এ সমাজকে পরিপূর্ণভাবে বোঝার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। সেজন্য সমাজতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক বিচারের মাধ্যমে তথ্যসমূহের বিশ্লেষণ আবশ্যক। জনাব আবদুল হক চৌধুরী নিজ প্রচেষ্টাতেই সেদিকে অগ্রসর হয়েছেন। আমি ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অগ্রসর হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
দীর্ঘ এ উদ্ধৃতি উল্লেখের কারণ দুটো। এক. বাংলাদেশে সমাজতত্ত্বের পথিকৃৎ ড. করিমের তাঁর অবদানের স্বীকৃতি এবং একে ভিত্তিভূমি বিবেচনা করে সমাজতাত্ত্বিক ও নৃবিজ্ঞানীদের কাছে প্রত্যক্ষণ, পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ায় এ বিষয়কে আরো তথ্যবহুল করে তোলবার আবেদন এবং দুই বিষয় হিসেবে সমাজতত্ত্বের সাহিত্যে তাঁর অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ। সমাজতত্ত্বের সৃজনকালে কে সমাজতাত্ত্বিক বা কে সমাজতাত্ত্বিক নন এ নিয়ে বিতর্ক ছিল। কার্ল মার্ক্সকে দীর্ঘকাল সমাজতাত্ত্বিক হিসেবেই বিবেচনা করা হতো না। ইবনে খালদুন তো দীর্ঘকাল অজ্ঞাতই ছিলেন। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, বিষয় হিসেবে সমাজতাত্ত্বিক সৃজন ও বিকাশে-বিস্ময়ী সমাজতাত্ত্বিক নয়, অন্য বিষয়ের বিজ্ঞরাই একে প্রাণ দিয়েছেন।
বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক প্রান্ত সমাজের ও ভৌগোলিক অবস্থানের সমাজতাত্ত্বিক বর্ণনা সম্ভবত তাঁর লেখাতেই সবচেয়ে বেশি দৃষ্ট। শুধু তাই নয়, বাংলা ও বাঙালির প্রান্ত ভূমি সিলেটকে নিয়েও তিনি ‘সিলেটের ইতিহাস প্রসঙ্গ’ রচনা করেছেন। সিলেট মূলত : অসম ও বাংলা সংস্কৃতির মেলবন্ধনের গ্রন্থিস্থল। সমাজতত্ত্বে অংংরসরষধঃরড়হ, অফধঢ়ঃধঃরড়হ শব্দগুলোর ব্যাপক প্রয়োগ কিন্তু প্রান্ত সমাজগুলোতেই বেশ দেখা যায়। জনাব আবদুল হক চৌধুরীর এ মাইক্রোস্কোপিক পর্যবেক্ষণকে সমাজতাত্ত্বিকরা নিজেদের সম্পদরাজির ভা-ার হিসেবে ব্যবহার করলে দেশ ও দশের লাভ। রুশ সমাজচিন্তাবিদ জর্জ প্লেখানভ তাঁর গড়হরংঃ ঠরবি ড়ভ ঐরংঃড়ৎু তে সামাজিক-অর্থনৈতিক বিবর্তনে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের প্রভাবের বর্ণনা করেন। সামাজিক-অর্থনৈতিক বিকাশের একটি উল্লস্ফন হিসেবে ব্যক্তিত্বের ভূমিকাকে দীর্ঘকাল উপেক্ষা করা হয়েছে। সামাজিক পরিবর্তনে ব্যক্তিত্বের ভূমিকাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণা করেন প্লেখানভ। এবং কোন জাতির বা গোষ্ঠীর সামাজিক পরিবর্তনে মাত্রাভেদে এদের প্রভাব বর্ণনা করেন। চট্টগ্রামের চরিত্রাভিধান রচনায় মূলত চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ধারণাকে সামনে নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক না হয়ে সমাজতত্ত্বের প্রয়োজনীয় কাজগুলোকে স্পষ্ট করেছেন তিনি আমাদের সামনে।
এক্ষণে সমাজতাত্ত্বিকদের একটা দায়িত্ব হতে পারে কালভেদে বিশেষ ব্যক্তিদের চট্টগ্রামে আচার-অনুষ্ঠানের পরিবর্তনের দিকটা ব্যাখ্যা করা। কোন জাতি বা গোত্রের সামাজিক পরিবর্তনে যেমন বিশেষ ব্যক্তিত্বের একটা বিশাল ভূমিকা থাকে তেমনি একাডেমিক অঙ্গনে বিশেষ ব্যক্তিত্বের ভূমিকার বিষয় হয়ে ওঠে আধুনিক। বাংলাদেশের সামজতত্ত্ব আর নৃবিজ্ঞানচর্চায় ব্যাপৃত গোষ্ঠী এ বিষয়ে জনাব চৌধুরীর অবদানকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে দেশে ও দশের মঙ্গল হবে।