সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদারের দাবি ক্যাবের

ভোগ্যপণ্যের বাড়তি দাম

করোনাকালে রাজধানীসহ দেশব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। বিষয়টিকে সাধারণ মানুষের উপর অনেকটাই ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ নামে অবিহিত করে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলেছে দায়সারা তদারকির কারণে ব্যবসায়ীরা বারবার বিনা কারণে খাদ্য-পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে জনগণের পকেট কাটছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি ও চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহের কথা বলা হলেও বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় খাদ্য বিভাগের আওতায় খোলা বাজারে ওএমএস চালু, টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য-পণ্য বিক্রি বাড়ানো এবং প্রশাসনের সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদারের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান উপরোক্ত দাবি জানান।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন বাজার নিয়ন্ত্রণ এখন পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের হাতে। দায়সারাভাবে দু’একটি অভিযান চললেও প্রকৃত অর্থে খ-কালীন এ অভিযান বাজারে কোন প্রভাব ফেলার পরিবর্তে বাজারকে আরও উসকে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বিগত এক মাস ধরে খুচরা বাজারে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল (সয়াবিন ও পাম অয়েল), পেঁয়াজ, আলু, আটা, ময়দা, চিনি, ডিম, আদা, জিরা, হলুদ, এলাচ, দারুচিনি, মুরগির মাংস (দেশি ও ব্রয়লার), খাসির মাংস ও শিশুখাদ্যের মধ্যে গুঁড়োদুধের দাম বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি সব ধরনের শাকসবজির দামও চড়া। বাড়তি দামে পণ্য কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভোক্তারা।