সুপ্রভাত ডেস্ক »
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চালু হওয়া সব প্রকল্প চালু থাকার নিশ্চয়তা চেয়েছে জাপান। ঢাকার দেশটির রাষ্ট্রদূতকে এ ব্যাপারে আশ্বাসও দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সেখানে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হয়।
বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন বলেন, “যে প্রকল্পগুলো চলছে সেগুলো চালু থাকার নিশ্চয়তা তারা চেয়েছে। আমি বলেছি প্রতিটি প্রকল্পই চলবে।”
ঢাকায় মেট্রোরেল, কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সমুদ্র বন্দরসহ আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক মেগাপ্রকল্পে যুক্ত হয়েছে জাপান। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩৫০টি জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো মোট বিনিয়োগ ৩৮০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সবশেষ ১০ বছরে বাংলাদেশে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪ গুণ বেড়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় জাপানের কাছ থেকে আরও বেশি বাজেট সহায়তা চেয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “জাপানের কাছ থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক একটা আশ্বাস পেয়েছি। এই ব্যাপারে আর কোনো দ্বিধা নেই। ভবিষ্যতে আরও প্রকল্পের জন্য ওরা আমাদেরকে বিবেচনা করছে। জাপানের প্রতিনিধি বলেছেন, ‘তোমাদের বিষয়ে আমরা খুবই খুশি। এখন স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে’। আমি বলেছি, স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করেছে।
“আমরা জাপানের কাছে কিছু বাজেট সাপোর্ট চেয়েছি। আর চলমান প্রকল্পগুলোর অর্থ যাতে দ্রুত ছাড়করণ হয়। আমাদের দেশ থেকে যেসব ছাত্র জাপানে যায় তাদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে বলেছি। তখন ওরা বলল, ‘আমাদের গ্লোবাল কনটেক্স আছে। তবুও এই বার্তা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাব’।”
আর্থিকখাতে সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সেটাও জানতে চেয়েছে জাপানি প্রতিনিধি দল।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ব্যাংকিং খাত, এনবিআর ও কাস্টমসে সংস্কার বিষয়ে তারা প্রশ্ন করেছিল। তারা চাচ্ছে যাতে এসব প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের মধ্য দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিবেশটা উন্নত হয়। আমি বলেছি, এগুলো ইমিডিয়েটলি সংস্কারের দরকার আছে।”
আলোচনায় কারিগরি শিক্ষার প্রসারে জাপানের সহযোগিতা চান সালেহউদ্দিন।
তিনি বলেন, “কারিগরি শিক্ষায় জাপানিরা বেশ দক্ষ। এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা রয়েছে। আর চেয়েছি বিদেশি বিনিয়োগ। রিজার্ভ বাড়াতে হলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটাও তারা ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকার ‘সংস্কারের’ যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলো দেখেও জাপান ‘বেশ খুশি’ দাবি করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এখন যে নেতৃত্ব এসেছে এদের অনেককেই তারা চেনেন। বিশেষ করে ড. ইউনূসকে। আমিও বেশ কয়েকবার জাপান গিয়েছিলাম, ফলে আমরা মনে করি তারা গুড হ্যান্ডস।”