নিজস্ব প্রতিবেদক »
বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজিতে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা। তবে সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও গত ২০ মে থেকে সাগরে ৬৫ দিনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের মাছের দাম।আকারভেদে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছেসব ধরনের মাছের দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের বহদ্দারহাট, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সাগরের মাছের সরবরাহ না থাকায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম।
গত সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া তেলাপিয়া মাছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, ছোট আকারের রুই মাছে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বড় আকারের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, বড় আকারের কাতাল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, মাঝারি আকারের মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, পাংগাসে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, কেজিপ্রতি বিগহেড মাছ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা এবং কার্ফ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়।
বাজারে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঢেরস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ধুন্দল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা , পটল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা,লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, খিরা ৪০ টাকা এবং তিত করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি আঁটি লাল শাকের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা, কুমড়ো শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পাট শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায় ।
প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৩৫ থেকে ১৩৭ টাকায়, খোলা পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত পুষ্টি ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল ১৪৫ টাকা, তীর ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা এবং রূপচাঁদা সয়াবিন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। এছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত বসুন্ধরা সয়াবিন তেল ৬৬০ টাকা, পুষ্টি সয়াবিন তেল ৬৭০ টাকা এবং রূপচাঁদা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৬৯০ টাকায়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগিতে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০টাকায়, সোনালী মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। তবে গরুর ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।