রাঙামাটিতে তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় হানিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি »
‘শান্তিচুক্তি করলেন, আপনি অস্ত্র পকেটে রেখে দিলেন, এটা কেমন কথা হলো। আপনার উদ্দেশ্য কি ছিলো? এটা তো সরকারের সঙ্গে ধোঁকাবাজি হয়ে গেলো। সন্ত্রাস ও শান্তি একসঙ্গে চলতে পারে না। যারা এখনো অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে মানুষকে জিম্মি করে এলাকার মানুষের ঘুম হারাম করতে চাচ্ছেন, তাদেরকে অনুরোধ করব, আপনারা অস্ত্র পরিহার করুন। রাষ্ট্রের সাথে সংঘাতে জড়ানোর চেষ্টা করবেন না। রাষ্ট্রের শক্তি অনেক বড় শক্তি। বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে আপনারা অস্ত্র পরিহার করুন। না হলে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলবে।
গতকাল সোমবার রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি আরও বলেন- এসব কর্মকাণ্ড করে কার লাভ হচ্ছে, যারা অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাস করছে, মানুষ খুন করে চাঁদাবাজি করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে, তাদের জীবন কি এটা কোন জীবন? তাদেরতো পরিবার ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়, তাদের পরিবার-পরিজনও নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। এটা কোন স্বাভাবিক জীবন হতে পারে না। আমি আবারও এ সভা থেকে অনুরোধ করব, যারা এখনো অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নামে মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করছেন, হুমকি দিচ্ছেন আপনারা দ্রুত অস্ত্র পরিহার করুন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। সরকার থেকে সুযোগ নিয়েছিলেন, সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কেউ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।’
সকালে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ^স্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পাহাড়ের চলমান বিষয়টা আমরা জানাব এবং এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে যেনো সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হয় সেটাও নেত্রীকে বলব। এই এলাকার মানুষকে জিম্মি সন্ত্রাসীরা মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবে- এটা বরদাশত করা যাবে না। যারা ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। যারা অপরাধ করেছে তাদের প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এদেশে বাস করে এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে টিকে থাকার কোন সুযোগ নেই।’
প্রতিনিধি সভায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের অধস্তন বিভিন্ন ইউনিট, সহযোগী সংগঠন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিংকিউ রোয়াজা, ফিরোজা বেগম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মনসুর আলীসহ সকল উপজেলার সভাপতি বা সম্পাদকরা।