সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী।
ম্যাগসাইসাই পুরস্কারজয়ী বাংলাদেশের খ্যাতনামা এই বিজ্ঞানী আরও বলেছেন, ডেলটার মতো করোনার অতিসংক্রামক ধরনের ভাইরাস যে আর আসবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
আজ শুক্রবার সকালে এক গণমাধ্যম সংলাপের আয়োজন করে র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন।
গত ৩১ আগস্ট ‘এশিয়ার নোবেল’ হিসেবে পরিচিত ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ফেরদৌসী কাদরীসহ এ পর্যন্ত ১২ ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট র্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের নামে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। র্যামন ম্যাগসাইসাই ১৯৫৭ সালের ১৭ মার্চ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। ১৯৫৮ সাল থেকে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রতিবছর ৩১ আগস্ট এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ৩১ আগস্ট র্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের জন্মদিন।
কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা এবং সাশ্রয়ী দামে সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করেছেন ফেরদৌসী কাদরী। ফেরদৌসী কাদরী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি টিকাবান্ধব দেশ। আমাদের ইপিআই কর্মসূচির সুনাম আছে।’
ফেরদৌসী কাদরী বলেন, এখন বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কমছে বটে; কিন্তু এতে খুব বেশি আশান্বিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বের অনেক দেশে সংক্রমণ এভাবে কমে আবার বেড়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। তাই করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সবচেয়ে বেশি দরকার ব্যাপক হারে টিকা দেওয়া।
ফেরদৌসী কাদরী বলেন, ‘বিশ্বে মানবিকতার অনেক উদাহরণ আছে। যেমন আমরা কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে টিকা পাচ্ছি। এটা একটা অনন্য উদ্যোগ। আমরা কোভিড-১৯-সংক্রান্ত গবেষণার কাজে পশ্চিমা অনেক দেশ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। তাই পুরো বিশ্ব বন্ধুহীন হয়ে গেছে, এমনটা ভাবা চলবে না।’