‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা সমাজতন্ত্র ও শ্রমিক সাম্যের মন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। তাই তারা জাতীয় চার নীতিতে সমাজতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং বৃহৎ শিল্প কল-কারখানাগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় এনেছিলেন। তবে তারই আদর্শে উদ্ভূদ্ধ কোন নির্বাহী জনশক্তি ছিল না। পুঁজিবাদ একটি সমাজ উত্তরণের সোপান। এজন্যে দেশপ্রেমীক ও সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক শক্তি ছিল না বলেই এদেশে লুম্পেন পুঁজিবাদের গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। যারা উৎপাদনের সংগে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল না, বরং তারা শোষিত শ্রেণিকেই শোষণ করেছে।’
গতকাল বিকেলে নগর জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেটস্থ কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা আবদুল আহাদের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হোসেন আবু’র সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের যে পুঁজিবাদ তা সামরিক স্বৈরতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় কর্পোরেট গ্রুপ তৈরি হয়েছে, তাদের হাতেই সাধারণ মানুষ জিম্মি। এর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা জেগে ওঠার শক্তি যোগাতে জাতীকে উদ্ভূদ্ধ করেছিলেন, তখনই পুঁজিবাদের কুলাঙ্গাররা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। এতেই শ্রমিক শ্রেণীর অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন মুছে যায়।
তিনি বলেন, এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ছিল একটি ভৌগলিক স্বাধীনতা মাত্র নয়, শোষিত শ্রমজীবী মানুষের অর্থনীতিক মুক্তির নির্দেশনা। আমরা ভৌগলিক স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হয় নি। এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন ও কর্ম একদিন বাংলাদেশকে শ্রমিক শ্রেণীর সমস্ত চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নিকেশ মিটিয়ে দিবেন। আমি আশা করি শ্রমিক লীগের সাথে সম্পৃক্ত সিবিএ-নন সিবিএ নেতৃবৃন্দ সে আকাঙ্খা পুরণ করবেন। আমি চাই আপনারা যে যেখান থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আপনারা পরিশুদ্ধ হোন।
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার শ্রমিক সাম্যের মন্ত্রে দিক্ষিত হয়ে শ্রমের প্রকৃত মূল্য প্রদানে শ্রম আইন ও আন্তর্জাতিক বিধি-বিধানগুলো মেনে চলে মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে একটি ঐক্যের সেতুবন্ধন রচনা করা হবে।
জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আব্দুল মতিন মাস্টার, গাজী জসীম উদ্দীন, আকবর হোসেন, আবুল বসর মাস্টার, ছাবের আহম্মদ, মো. শাহজাহান, রাকিবুল ইসলাম সাজ্জী, আফছার হোসেন চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আবুল কাসেম, আবু বক্কর, আব্দুল আজিজ, নাইমুল করিম, হাবিবুর রহমান, কামাল উদ্দীন বাদল, জামাল উদ্দীন লিটন, এমএ জিন্নাহ, নাসির উদ্দীন, মো. ইব্রাহিম, মাহাবুবুর রহমান লিংকন, শাহজাহান সাজু, জাহাঙ্গীর আলম ও সমীরুল ইসলাম তুহিনসহ প্রমুখ।
সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ এই করোনাকালে প্রাণ হারানো রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সদস্যসহ নগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম কাজী মাহাবুবুল হক চৌধুরী এটলি রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর